যন্ত্রটির নাম ক্ল্যাম্প মিটার। কোন ইনসুলেশন যুক্ত বৈদ্যুতিক তারের ভিতর দিয়ে কি পরিমাণ বিদ্যুৎ প্রবাহিত হচ্ছে তা পরিমাপ করতে ইঞ্জিনিয়ারগন এ ধরনের ইন্সট্রুমেণ্ট ব্যাবহার করে থাকেন। অর্থাৎ যখন কোন বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইনের সাথে কোন প্রকার বৈদ্যুতিক লোড যুক্ত হয় তখন সেই লোডকে পরিচালনা করতে উক্ত ক্যাবলের ভিতরে দিয়ে ঠিক কি পরিমান বিদ্যুৎ প্রবাহিত হচ্ছে অর্থাৎ প্রতি ঘন্টায় কত ampere বিদ্যুৎ খরচ হচ্ছে তা জানতে ইঞ্জিনিয়ারগন ইনসুলেশন যুক্ত ক্যাবলের উপরে গোলাকৃতির এই ক্ল্যাম্পটিকে বসিয়ে দেন। আর যেহেতু এই ক্ল্যাম্প মিটারের ভিতরে এক ধরনের বিশেষ কারেন্ট ট্রান্সফরমার অর্থাৎ CT দেওয়া থাকে তাই এই CT এর ভিতর দিয়ে যখন বিদ্যুৎ প্রবাহিত হওয়ার চেষ্টা করে তাৎক্ষনিকভাবে CT বা current transformer এর দু প্রান্তে অর্থাৎ প্রাইমারি ও সেকেন্ডারী ওয়ান্ডিং এ এক ধরনের তড়িৎ চৌম্বকীয় বল তৈরি হয়। যাকে ইঞ্জিনিয়ার গণ ইলেক্ট্রো ম্যাগনেটিক ফ্লাক্স বা এনার্জি বলে থাকে। এই উৎপন্নকৃত ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ফ্লাক্স বা এনার্জিকে একটি বিশেষ কম্পিউটার প্রোগ্রামের মাধ্যমে ক্যালকুলেশন করে বৈদ্যুতিক এম্পিয়ারের হিসাব বের করে তা ডিসপ্লেতে দেখানো হয় যা দেখে ইঞ্জিনিয়ারগন বুঝতে পারেন বৈদ্যুতিক লোড বা যন্ত্রটি প্রতি ঘন্টায় কি পরিমাণ বিদ্যুৎ খরচ করছে।
এ যন্ত্রটির সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো এটি দিয়ে বৈদ্যুতিক amp হিসাব করতে এমিটারের মত ক্যাবল বা তার কাটার ঝামেলা নেই।কিংবা এমিটারের মত হাই ভোল্টেজ লোডে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দুই প্রান্তে দুটো পিন নব ধরারও প্রয়োজন নেই। ক্ল্যাম্প মিটারের সাহায্যে খুব সহজে ক্যাবল না কেটে ইনসুলেশনের উপর দিয়েই উচ্চ ভোল্টেজে (৪৪০ ভোল্ট) পরিমাপ করা যায়।
সতর্কতাঃ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ ব্যাতিত ইহার ক্যালিব্রেশন করবেন না।
ঢাকার ভিতরে ক্লাম্প মিটার এর সার্ভিস সেন্টার কোথায় আছে....
ReplyDeleteThanks a lot
ReplyDelete