01. গ্রিড সিস্টেম ?
✈গ্রিড সিস্টেমে মূলত একটি আন্তঃ সংযোগ নেটওয়ার্ক বিশেষ, যেখানে প্রতিটি ফিডারে ন্যূনতম দুই বা ততোধিক জেনারেটিং স্টেশনের মাধ্যমে পাওয়ার ফিড হয়। কোনো দেশের সকল পাওয়ার জেনারেটিং স্টেশনকে ইন্টারকানেকশন করে উৎপাদিত ইলেক্ট্রিক্যাল এনার্জিকে সম্মিলিতভাবে হাই ভোল্টেজ ট্রান্সমিশন লাইন ও ফিডারের মাধ্যমে সরবরাহের ব্যবস্থাকে ন্যাশনাল গ্রীড হিসাবে অভিহিত করা হয়। অতএব বলা যায় গ্রীড সিস্টেম পাওয়ার সিস্টেমের একটি বিশেষ নেটওয়ার্ক, যা উচ্চ ভোল্টেজ রেটিং এর ট্রান্সমিশন লাইন দ্বারা বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও উপকেন্দ্র এর সংযোগ সাধন করে।
02. গ্রীড সিস্টেমের প্রয়োজনীয়তাঃ
বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় প্রাকৃতিক সম্পদ সারাদেশে সমভাবে বিস্তৃত থাকেনাপ্রাকৃতিক সম্পদের সহজলভ্যতার ভিত্তিতে বিস্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র স্থাপিত হয়। স্বল্প ব্যায়ে উৎপাদিত বিদ্যুতকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিতরনের নিমিত্তে গ্রীড সিস্টেম অপরিহার্য। যদিও দীর্ঘ ট্রান্সমিশন লাইনের মাধ্যমে এই বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র হতে বিভিন্ন এলাকার ইলেক্ট্রিক সাপ্লাইসমূহে বিতরনের লক্ষে নিয়ে যাওয়ার ফলে ট্রান্সমিশন লস অত্যধিক হওয়ার সামগ্রিক ভাবে বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি পায়, তবে প্রাকৃতিক সম্পদের সহজলভ্যতার কারনে দেশের পূর্বাঞ্চলেই অধিকাংশ বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপিত। ফলে ইস্ট ওয়েস্ট গ্রীড ইন্টারকানেকটর এর মাধ্যমে পশ্চিমাঞ্চলে এই বিদ্যুৎ ট্রান্সফার করা হয়ে থাকে। তাছাড়া দেশের সমগ্র এলাকায় বিদ্যুৎ বিতরনের মধ্যে একটি ব্যালেন্স রক্ষারও চেষ্টা করা হয়ে থাকে গ্রীড সিস্টেমের মাধ্যমে।
সর্বোপরি দেশের বিভিন্ন আঞ্চলিক বিদ্যুৎ ব্যবস্থার মধ্যে সার্ভিস কন্টিনিউটি রক্ষা করার জন্য গ্রীড সিস্টেমের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম।
বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় প্রাকৃতিক সম্পদ সারাদেশে সমভাবে বিস্তৃত থাকেনাপ্রাকৃতিক সম্পদের সহজলভ্যতার ভিত্তিতে বিস্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র স্থাপিত হয়। স্বল্প ব্যায়ে উৎপাদিত বিদ্যুতকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিতরনের নিমিত্তে গ্রীড সিস্টেম অপরিহার্য। যদিও দীর্ঘ ট্রান্সমিশন লাইনের মাধ্যমে এই বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র হতে বিভিন্ন এলাকার ইলেক্ট্রিক সাপ্লাইসমূহে বিতরনের লক্ষে নিয়ে যাওয়ার ফলে ট্রান্সমিশন লস অত্যধিক হওয়ার সামগ্রিক ভাবে বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি পায়, তবে প্রাকৃতিক সম্পদের সহজলভ্যতার কারনে দেশের পূর্বাঞ্চলেই অধিকাংশ বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপিত। ফলে ইস্ট ওয়েস্ট গ্রীড ইন্টারকানেকটর এর মাধ্যমে পশ্চিমাঞ্চলে এই বিদ্যুৎ ট্রান্সফার করা হয়ে থাকে। তাছাড়া দেশের সমগ্র এলাকায় বিদ্যুৎ বিতরনের মধ্যে একটি ব্যালেন্স রক্ষারও চেষ্টা করা হয়ে থাকে গ্রীড সিস্টেমের মাধ্যমে।
সর্বোপরি দেশের বিভিন্ন আঞ্চলিক বিদ্যুৎ ব্যবস্থার মধ্যে সার্ভিস কন্টিনিউটি রক্ষা করার জন্য গ্রীড সিস্টেমের প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম।
03. গ্রিড সিস্টেমে কেন্দ্রের বেস লোড ও পিক লোড ব্যবস্থাপনাঃ
১। বেস লোডঃ কোনো বিদ্যুৎ কেন্দ্রের যে পরিমান লোড দিনের প্রায় সবসময় অপরিবর্তনশীল থাকে তাকে বেস লোড ধরা হয়। এ বেস লোড সবসময় প্রায় একই থাকে ফলে পরিবর্তনশীল লোডের সমস্যা এড়িয়ে স্থিতিশীল অবস্থায় বিদ্যুৎ কেন্দ্র পরিচালনা করা যায়।
04. পিক লোডঃ
কেন্দ্রের বেস লোডের উপরে বিভিন্ন সময়ে লোডের যে সর্বোচ্চ চাহিদা, তাকে পিক লোড বলে। পিক লোড সাধারনত খুব বেশী সময় স্থায়ী হয়না এবং এটা মোট লোডের অংশ বিশেষ।
আঞ্চলিক চাহিদার ভিত্তিতে যেসব বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থপিত, উচ্চ দক্ষতায় পরিচালনার নিমিত্তে সেগুলো সাধারণত বেস লোড ভিত্তিক হয়। ফলে লোড ফ্যাক্টর উচ্চ হয়, দক্ষতা বেশী হয় এবং অর্থনৈতিক সাশ্রয় ঘটে।
পিক লোড আওয়ারে যখন কেন্দ্রের চাহিদা বেস লোডকে ছাড়িয়ে যায় তখন গ্রিড থেকে চাহিদা মোতাবেক অতিরিক্ত বিদ্যুৎ গ্রহন করে কেন্দ্র পরিচালনা করে।
পিক লোড আওয়ারে যখন কেন্দ্রের চাহিদা বেস লোডকে ছাড়িয়ে যায় তখন গ্রিড থেকে চাহিদা মোতাবেক অতিরিক্ত বিদ্যুৎ গ্রহন করে কেন্দ্র পরিচালনা করে।
05. গ্রিড সিস্টেমের প্রকারভেদঃ
গ্রিড সিস্টেম প্রধানত তিন প্রকার, যেমনঃ
ক. রেডিয়াল গ্রীড সিস্টেম,
খ. রিং মেইন গ্রিড সিস্টেম এবং
গ. ইন্টারকানেকশন গ্রীড সিস্টেম।
ক. রেডিয়াল গ্রীড সিস্টেম,
খ. রিং মেইন গ্রিড সিস্টেম এবং
গ. ইন্টারকানেকশন গ্রীড সিস্টেম।
১। রেডিয়াল গ্রিড সিস্টেমঃ যে সিস্টেমে প্রত্যেকটি ফিডার গ্রিড সাবস্টেশন হয়ে বাহিরের দিকে ছড়িয়ে যায় এবং ডিস্টিবিউটর ও সার্ভিস মেইন গুলো সাবস্টেশন হতে বাহিরের দিকে ছড়িয়ে যায়।
অর্থাৎ একটি মাত্র ফিডারের মাধ্যমে সাবস্টেশন গুলো একদিক হতে ফিড হয়। এই ধরনের গ্রিড সিস্টেম খুবই সাধারন এবং প্রাথমিক খরচ কম হওয়ায় নিম্নলিখিত সীমাবদ্ধতাসমূহ পরিলক্ষিত হয়ঃ
• ফিডিং পয়েন্টের কাছে লিডিং এর পরিমান বেশী থাকে।
• গ্রাহকদের একটি মাত্র ফিডারের উপর নির্ভর করতে হয়। ফলে ফিডারে ত্রুটি দেখা দিলে পুরো সরবরাহ এলাকাটি বিঘ্নিত হবে।
• ফিডারের শেষ প্রান্তে অবস্থিত গ্রাহকদের মারাত্মক ভোল্টেজ ফ্লাকচুয়েশনের মুখোমুখি হতে, যখন ফিডারের লোডের পরিবর্তন ঘটে।
অর্থাৎ একটি মাত্র ফিডারের মাধ্যমে সাবস্টেশন গুলো একদিক হতে ফিড হয়। এই ধরনের গ্রিড সিস্টেম খুবই সাধারন এবং প্রাথমিক খরচ কম হওয়ায় নিম্নলিখিত সীমাবদ্ধতাসমূহ পরিলক্ষিত হয়ঃ
• ফিডিং পয়েন্টের কাছে লিডিং এর পরিমান বেশী থাকে।
• গ্রাহকদের একটি মাত্র ফিডারের উপর নির্ভর করতে হয়। ফলে ফিডারে ত্রুটি দেখা দিলে পুরো সরবরাহ এলাকাটি বিঘ্নিত হবে।
• ফিডারের শেষ প্রান্তে অবস্থিত গ্রাহকদের মারাত্মক ভোল্টেজ ফ্লাকচুয়েশনের মুখোমুখি হতে, যখন ফিডারের লোডের পরিবর্তন ঘটে।
২। রিং মেইন গ্রিড সিস্টেমঃ এই সিস্টেমে দুটি ফিডার গ্রিড সিস্টেম হতে বাইরের দিকে ছড়িয়ে যায় এবং ডিস্টিবিউটর ও মেইন সাব স্টেশন হতে বাইরের দিকে ছড়িয়ে যায়। এখানে প্রতিটি সাবস্টেশন দুটি ফিডারের মাধ্যমে সাপ্লাই পায় এজনু একে রিং মেইন গ্রিড সিস্টেম বলে। রেডিয়াল গ্রিড সিস্টেমের সাথে এর পার্থক্য হল, এখানে প্রত্যেকটি একটি ক্লোজড লুপ সম্পন্ন করে।
ফলে এতে কিছু সুবিধা পাওয়া যায়, যথাঃ
*গ্রাহক প্রান্তে ভোল্টেজ উঠা নামা কম হয়।
*ফিডারের একদিকে ফল্ট দেখা দিলে অন্য পথের মাধ্যমে সিস্টেমে নিরবচ্ছিন্নভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ থাকে।
ফলে এতে কিছু সুবিধা পাওয়া যায়, যথাঃ
*গ্রাহক প্রান্তে ভোল্টেজ উঠা নামা কম হয়।
*ফিডারের একদিকে ফল্ট দেখা দিলে অন্য পথের মাধ্যমে সিস্টেমে নিরবচ্ছিন্নভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ থাকে।
05. আন্তঃসংযোগ গ্রিড সিস্টেমঃ গ্রিড সাপ্লাই সিস্টেম একটি আন্তঃসংযোগ নেটওয়ার্ক বিশেষ, যেখানে প্রতিটি দুই বা ততোধিক জেনারেটিং স্টেশন সাবস্টেশনের মাধ্যমে পাওয়ার গ্রহন করে থাকে।
এধরনের সিস্টেমে নিম্নলিখিত সুবিধা পাওয়া যায়ঃ
• সার্ভিস রিয়ালিবিলিটি বৃদ্ধি পায়।
• পিক লোডের সময় জেনারেটিং স্টেশন সমূহ হতে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। এতে রিজার্ভ পাওয়ার ক্যাপাসিটি কমে যায় এবং সিস্টেমের দক্ষতা বৃদ্ধি পায়।
এধরনের সিস্টেমে নিম্নলিখিত সুবিধা পাওয়া যায়ঃ
• সার্ভিস রিয়ালিবিলিটি বৃদ্ধি পায়।
• পিক লোডের সময় জেনারেটিং স্টেশন সমূহ হতে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়। এতে রিজার্ভ পাওয়ার ক্যাপাসিটি কমে যায় এবং সিস্টেমের দক্ষতা বৃদ্ধি পায়।
সরবরাহের ধরনের উপর ভিত্তি করে ২প্রকারঃ
ক. AC wMOE
খ. DC wMOE
ক. AC wMOE
খ. DC wMOE
এলাকা/অঞ্চল ভিত্তিতে ২প্রকারঃ
ক. Eastern wMOW
খ. Western eMOW
ক. Eastern wMOW
খ. Western eMOW
ভোল্টেজের উপর ভিত্তি করেঃ
ক. 66KV Grid line
খ.132KV Grid line
গ. 220KV Grid line
ঘ. 230KV Grid line
ঙ. 238KV Grid line
চ. 400KV Grid line
ক. 66KV Grid line
খ.132KV Grid line
গ. 220KV Grid line
ঘ. 230KV Grid line
ঙ. 238KV Grid line
চ. 400KV Grid line
লাইন অনুসারেঃ
ক. Single Line grid system
খ. Double Line grid system
গ. Triple Line grid system
ক. Single Line grid system
খ. Double Line grid system
গ. Triple Line grid system
প্রাদেশিক ও আন্তঃদেশীয় সংযোগের ক্ষেত্রেঃ
ক. Regional Grid system
খ. International Grid system
06. ডিস্ট্রিবিউশন লাইন কি?
ট্রান্সমিশন লাইন থেকে বাসা-বাড়ি বা কনজিউমার লেভেলে যে বিদ্যুৎ প্রেরন করা হয় তাকে ডিস্ট্রিবিউশন লাইন বলা হয়ে থাকে।
ক. Regional Grid system
খ. International Grid system
06. ডিস্ট্রিবিউশন লাইন কি?
ট্রান্সমিশন লাইন থেকে বাসা-বাড়ি বা কনজিউমার লেভেলে যে বিদ্যুৎ প্রেরন করা হয় তাকে ডিস্ট্রিবিউশন লাইন বলা হয়ে থাকে।
07. প্রাইমারি ট্রান্সমিশন কি?
উত্তরঃ উৎপাদন কেন্দ্রের প্রেরণ প্রান্ত থেকে রিসিভিং প্রান্ত পর্যন্ত দীর্ঘ অতি উচ্চ ভোল্টেজ লাইনকে প্রাইমারি ট্রান্সমিশন (লাইন) বলা হয়। প্রাইমারি ট্রান্সমিশন ভোল্টেজ 110KV, 132KV, 230KV, 400KV পর্যন্ত বা আরও বেশি হতে পারে।
08. সেকেন্ডারি ট্রান্সমিশন কি?
উত্তরঃ রিসিভিং স্টেশন থেকে সাব- স্টেশন পর্যন্ত দীর্ঘ উচ্চ ভোল্টেজ লাইনকে সেকেন্ডারি ট্রান্সমিশন (লাইন) বলা হয়। সেকেন্ডারি ট্রান্সমিশন ভোল্টেজ 33KV, 66KV হতে পারে।
09. বাংলাদেশে প্রাইমারি ডিস্ট্রিবিউশন ভোল্টেজ কত?
উত্তরঃ 11KV, 6.6KV, 3.3KV ইত্যাদি।
10. সেকেন্ডারি ডিস্ট্রিবিউশন কি?
উত্তরঃ যে পদ্ধতিতে ১১কেভি প্রাইমারি ডিস্ট্রিবিউশন লাইন হতে শহর বা লোকালয়ে বা কারখানা এলাকায় অবস্থিত ডিস্ট্রিবিউশন ট্রান্সফরমারে ভোল্টেজ কমিয়ে 400 V অথবা 230 V সিস্টেমে বিভিন্ন গ্রাহককে বিদ্যুৎ সরবরাহ করার বেবস্থা করা হয় তাকে সেকেন্ডারি ডিস্ট্রিবিউশন বলা হয়।
11. ট্রান্সমিশন ও ডিস্ট্রিবিউশন এর জন্য সর্বাপেক্ষা ভাল পদ্ধতি কি ?
উত্তরঃ সর্বাপেক্ষা ভাল পদ্ধতি হল উৎপাদন ও বিতরণের জন্য AC ব্যবস্থা এবং ট্রান্সমিশন এর জন্য DC ব্যবস্থা।
12. এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে সর্বচ্চো ট্রান্সমিশন ভোল্টেজ কত?
উত্তরঃ 400kV (বিবিয়ানা- কালিয়াকৈর)
13. ফিডার কি?
উত্তরঃ জনবহুল এলাকা, কারখানা বা আবাসিক এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করার লক্ষে উচ্চ ভোল্টেজ উপকেন্দ্র বা গ্রিড উপকেন্দ্র হতে বিভিন্ন লোড সেন্টারে বিদ্যুৎ সরবরাহ প্রদানের জন্য যে untapped লাইন নির্মাণ করা হয় তাকে ফিডার বলে।
14. ফিডার ও ডিস্ট্রিবিউটরের মূল তফাৎ কি?
উত্তরঃ জেনারেটিং স্টেশনের সহিত সংযোগ সাধনকারী মোটা পরিবাহীকে ফিডার বলে, যার কোন ট্যাঁপিং থাকেনা। পক্ষান্তরে গ্রাহকের সার্ভিস মেইনের সহিত সংযোগ সাধনকারী ট্যাঁপিং যুক্ত পরিবাহীকে ডিস্ট্রিবিউটর বলে, যার সমস্ত দৈর্ঘ্য বরাবর কারেন্টের মান বিভিন্ন হয়।
15. ডিস্ট্রিবিউটর ও ফিডার এর মাঝে পার্থক্য কি?
উত্তরঃ সার্ভিস মেইন অপেক্ষাকৃত চিকন ক্যাবল বিশেষ যার মাধ্যমে গ্রাহকদের পাওয়ার সরবরাহ করা হয়। এটি ডিস্ট্রিবিউটরের সহিত সংযোগ থাকে। কিন্তু ডিস্ট্রিবিউটর সরাসরি ফিডারের সহিত সংযোগ থাকে।
16. উচ্চ ভোল্টেজ পাওয়ার ট্রান্সমিশনের সুবিধা কি?
উত্তরঃ সুবিধাগুলো নিন্মরুপঃ
1) লাইন লস কম হয়।
2) ট্রান্সমিশন দক্ষতা বৃদ্ধি পায়
3) লাইনের ভোল্টেজ ড্রপ কম হয়
4) রেগুলেশন উন্নত হয়।
5) কম আয়তনের পরিবাহী লাগে।
6) পাওয়ার ট্রান্সমিশন ব্যয় কম হয়।
17. ফ্রিকুয়েন্সি উঠানামার শতকরা হার কত?
উত্তরঃ ফ্রিকুয়েন্সি উঠানামা 2.5% এর মধ্যে থাকা উচিত।
18. ডিস্ট্রিবিউটরের গ্রহণযোগ্য সর্বোচ্চ ভোল্টেজ ড্রপের হার কত?
উত্তরঃ ডিস্ট্রিবিউটরের গ্রহণযোগ্য সর্বোচ্চ ভোল্টেজ ড্রপের হার 6%
19. সিস্টেম লস কি?
উত্তরঃ উৎপাদন কেন্দ্রের নিজস্ব ব্যবহার সহ যন্ত্রপাতির অপচয়, পরিবহন তারের রেজিসটেন্স জনিত অপচয় এবং অন্যান্য কারিগরি-অকারিগরি অপচয়ের কারনে সামগ্রিক ভাবে যে বৈদ্যুতিক পাওয়ার অপচয় হয় তাকে সিস্টেম লস বলে।
20. পাওয়ার ফ্যাক্টর এর মান কম হলে সিস্টেমে কি অশুবিধা হয়?
উত্তরঃ পাওয়ার ফ্যাক্টর এর মান কম হলে অনেক বেশি আয়তনের পরিবাহীর প্রয়জন হয়, লাইন লস বৃদ্ধি পাওয়ায় সিস্টেমের দক্ষতা কমে যায় , প্রাথমিক খরচ বেড়ে যায় তাই পার ইউনিট কষ্ট বেশি হয়।
21. অর্থনৈতিক পাওয়ার ফ্যাক্টর কাকে বলে?
উত্তরঃ পাওয়ার ফ্যাক্টর যে মানে উন্নিত করলে বাৎসরিক সরবচ্চ সাশ্রয় হয়, উক্ত পাওয়ার ফ্যাক্টরকে সর্বোত্তম পাওয়ার ফ্যাক্টর বলে।
22. ওভার হেড লাইনের উপাদান কি কি?
উত্তরঃ ওভার হেড লাইনের উপাদান প্রধানত বার টি , যথাঃ
(১) সাপোর্ট (২) ক্রস-আরম ও ক্লাম্প (৩) ইনসুলেটর (৪) কন্ডাকটর (৫) গাই ও স্টে (৬) লাইটনিং এরেস্টর (৭) ফিউজ ও আইসুলেটিং সুইস (৮) অবিচ্ছিন্ন আর্থ তার (৯) গার্ড ওয়ার (১০) পাখি রক্ষক (১১) জাম্পার (১২) ভাইব্রেশন ড্যাম্পার
23. কোন ধরনের পোলে টানা ব্যাবহার করা হয়?
উত্তরঃ টার্মিনাল পোলে এবং এঙ্গেল পোলের দুদিকে টানের সমতা রক্ষার জন্য টানা বা stays ব্যাবহার করা হয়।
24. “H” টাইপ পোল কোথায় ব্যাবহার করা হয়?
উত্তরঃ দীর্ঘ স্পান বিশিষ্ট (১৬০ মিটার পর্যন্ত) ১৩২ কেভি ট্রান্সমিশন লাইনে “H” টাইপ পোল ব্যাবহার করা হয়। লাইনের যে স্থানে সুইস গিয়ার বা ট্রান্সফরমার ব্যাবহার করার দরকার পড়ে সেখানে “H” টাইপ পোল ব্যবহার করা হয়।
25. ট্রান্সমিশন লাইন আর্থ করা হয় কেন?
উত্তরঃ বজ্রপাতের ফলে অথবা অন্য কোন অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে ইনসুলেশন ব্রেকডাউন হতে পারে। এই সম্ভাব্য দুর্ঘটনা থেকে লাইনকে রক্ষা করার জন্য ওভার হেড লাইনের শীর্ষে একটি অবিচ্চিন্ন আর্থ তার ব্যবহার করা হয়, যার মাধ্যমে অতিরিক্ত ভোল্টেজ মাটিতে ডিসচার্জ হতে পারে।
26. ক্রেডল গার্ড কোথায় এবং কেন ব্যবকার করা হয়?
উত্তরঃ ওভার হেড লাইনের তার – যেখানে রাস্তা , রেল লাইন কিম্বা বাড়ীর উপর দিয়ে টানা হয়, সেখানে নিরাপত্তার জন্য কেবলমাত্র এটি ব্যবহার করা হয়। তার ছিঁড়ে যাওয়ার পর তা যেন মাটিতে পরার সুযোগ না পায়, সে জন্য এ সব যায়গায় এই ক্রেডল গার্ড ব্যবহার করা হয়।
.ল
27. ওভার হেড লাইনের জন্য সাধারণত কি কি কন্ডাকটর ব্যবহার করা হয়?
উত্তরঃ (১) স্টিল কোরড অ্যালুমিনিয়াম (২) কপার (৩) অ্যালুমিনিয়াম ও (৪) গ্যালভানাইজড স্টিল কন্ডাকটর
এছাড়া কতোগুলি বিশেষ ক্ষেত্রে ফসফার ব্রোঞ্জ, কপার ক্ল্যাড, ক্যাডমিয়াম কপার ইত্যাদি তার ব্যবহার করা হয়।
28. C.S.R বলতে কি বুঝ?
উত্তরঃ একে Steel cored aluminium-ও বলে। উচ্চ ভোল্টেজ পরিবহন করার জন্য অ্যালুমিনিয়াম কন্ডাকটরের কেন্দ্রে প্রলেপ যুক্ত ষ্টীল কোর ব্যবহার করে A.C.S.R তার তৈরি করা হয়। এতে অ্যালুমিনিয়াম তারের টান সহন ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
29. ওভার হেড লাইনের পরিবাহী পদার্থের কি কি গুণাবলী থাকা দরকার?
উত্তরঃ নিন্মক্ত গুণাবলী থাকা দরকারঃ
(১) উচ্চ বিদ্যুৎ পরিবাহিতা অর্থাৎ কম আপেক্ষিক রোধ।
(২) উচ্চ টেনসাইল স্ত্রেংথ।
(৩) স্বল্প ব্যয়ী হতে হবে।
(৪) তার সক্ত ও নমনীয় হতে হবে।
(৫)উচ্চ গলনাংক সমপন্ন হতে হবে ।
(৬) তার টেকসই ও স্ক্রাব বিক্রয়যোগ্য হতে হবে।
30. ট্রান্সমিশন ও ডিস্ট্রিবিউশন লাইনের জন্য কপার অপেক্ষা C.S.R তার ব্যবহার করা হয় কেন?
উত্তরঃ সমান রোধ সম্পন্ন কপারের তুলনায় A.C.S.R কন্ডাকটরের ব্যাস বেশি কিন্তু ওজনে হালকা। এছাড়া সর্বোচ্চ টান সহন ক্ষমতা কপারের তুলনায় বেশি।
31. স্কিন ইফেক্ট কি?
উত্তরঃ AC বিদ্যুৎ প্রবাহ কোন পরিবাহির মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার সময় সে পরিবাহির ভিতরে প্রবেশ না করে উহার সারফেস দিয়ে প্রবাহিত হতে চেস্টা করে, এটাকে স্কিন ইফেক্ট বলে। এই স্কিন ইফেক্ট এর ফলে লাইনের রেজিস্ট্যান্স বৃদ্ধি পায় যার ফলে লাইন লসও বেড়ে যায়।
32. করোনা ইফেক্ট কি?
উত্তরঃ যখন দুইটি কন্ডাক্টর এর স্পেসিং ব্যাসের তুলনায় বেশি অবস্থায় রেখে তাদের আড়াআড়িতে AC ভোল্টেজ প্রয়োগ করে ধিরে ধিরে বাড়ানো হয় তখন একটি পর্যায় আসে। এই বিশেষ পর্যায় কন্ডাক্টরের চারপাশে বাতাস ইলেক্ট্রস্ট্যাটিক স্ট্রেস হয়ে আয়নিত হয় এবং বাতাসের ইন্সুলেশন স্ট্রেংথ ভেঙ্গে যায়। এই অবস্থায় কন্ডাক্টরের চারপাশে জিম জিম শব্দসহ হালকা অনুজ্জ্বল বেগুনী রস্মি দেখা যায় এবং ওজন গ্যাসের সৃষ্টি হয়, এই অবস্থাটিকে করোনা নামে পরিচিত।
33. প্রক্সিমিটি ইফেক্ট কি?
উত্তরঃ সমান্তরাল দুইটি পরিবাহীর কারেন্ট যদি পরস্পর বিপরীতমুখী হয়, তাহলে উভয় পরিবাহীর নিকটবর্তী অংশে কারেন্ট ডেনসিটি বেড়ে যায়। আবার একমুখী কারেন্ট হলে দূরবর্তী অংশে কারেন্ট ডেনসিটি বেড়ে যায়। এ ঘটনাকে প্রক্সিমিটি ইফেক্ট বলে। ইহার প্রভাবে অসম কারেন্ট প্রবাহিত হয়, লাইনের রেজিস্ট্যান্স বৃদ্ধি পায় এবং সেলফ রিয়াক্ট্যান্স এর মান কমে যায়।
34. স্যাগ (SAG) কাকে বলে?
উত্তরঃ দুইটি পোল বা টাওয়ারের মধ্যে কন্ডাকটর লাগানো হলে কন্ডাকটরটি কিছুটা ঝুলে পড়ে। পোল বা টাওয়ার দুইটির যে বিন্দুতে কন্ডাকটর লাগানো হয়েছে সেই বিন্দু দুইটির সংযোগকারি কাল্পনিক রেখা হতে কন্ডাকটরটির সর্বোচ্চ ঝুলকে স্যাগ (SAG) বা ঝুল বলে।
এটির সংজ্ঞা ইংরেজিতে জেনে রাখবেন-
“The difference in level between points of support and the lowest conductor is called sag”
35. লোড পাওয়ার খুব কম হলে ট্রান্সমিশন লাইনে কি প্রভাব দেখা দেয়?
উত্তরঃ লোড পাওয়ার খুব কম হলে লাইনে ক্যাপাসিট্যান্সের প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। এই অবস্থায় লাইনে সর্বদা একটি ৯০ ডিগ্রি লিডিং চার্জিং কারেন্ট। এর প্রভাবে ট্রান্সমিশন লাইনের প্রেরন প্রান্ত অপেক্ষা গ্রহন প্রান্তে ভোল্টেজ বেশি দেখা দেয় ফলে ভোল্টেজ রেগুলাশন এর মান নেগেটিভ হয়।
36. ফেরান্টি ইফেক্টি কি?
উত্তরঃ মিডিয়াম বা লং ট্রান্সমিশন লাইনে ওপেন সার্কিট বা লোড শুন্য অবস্থায় কিংবা অল্প লোডে চলার সময় প্রেরন প্রান্ত অপেক্ষা গ্রহন প্রান্তের ভোল্টেজের মান বেশি হতে দেখা দেয়। এই ঘটনা বা phenomenon কে ফেরান্টি ইফেক্ট বলে।
No comments:
Post a Comment
Thanks for your comment.