01. অল্টারনেটর কি?
উঃ অল্টারনেটর” এমন একটি জেনারেটর যা পরিবর্তনশীল ভোল্টেজ উৎপন্ন করে। যে কোন জেনারেটরের আর্মেচার ওয়াইন্ডিংয়ে প্রথমত পরিবর্তনশীল ভোল্টেজ উৎপন্ন হয়। কিন্তু ডি সি জেনারেটরের বেলায় পরিবর্তনশীল ভোল্টেজকে কম্যুটেটরের মাধ্যমে ডি সি তে রুপান্তরিত করে লোডে সরবরাহ করা হয়। অল্টারনেটরে পরিবর্তনশীল ভোল্টেজ উৎপন্ন করার জন্য চুম্বকক্ষেত্র ও আর্মেচার প্রয়োজন”।
উঃ অল্টারনেটর” এমন একটি জেনারেটর যা পরিবর্তনশীল ভোল্টেজ উৎপন্ন করে। যে কোন জেনারেটরের আর্মেচার ওয়াইন্ডিংয়ে প্রথমত পরিবর্তনশীল ভোল্টেজ উৎপন্ন হয়। কিন্তু ডি সি জেনারেটরের বেলায় পরিবর্তনশীল ভোল্টেজকে কম্যুটেটরের মাধ্যমে ডি সি তে রুপান্তরিত করে লোডে সরবরাহ করা হয়। অল্টারনেটরে পরিবর্তনশীল ভোল্টেজ উৎপন্ন করার জন্য চুম্বকক্ষেত্র ও আর্মেচার প্রয়োজন”।
02. অল্টারনেটরের বিভিন্ন অংশের তালিকা*
অল্টারনেটরের প্রধান অংশ তিনটি:
• স্টেটর
• রোটর
• এক্সাইটার
“স্টেটর”
বড় বড় অল্টারনেটরের স্টেটর দুই ধরনের হয়ে থাকে:
• ফ্রেম বা ইয়ক
• স্টাম্পিং
বড় বড় অল্টারনেটরের স্টেটর দুই ধরনের হয়ে থাকে:
• ফ্রেম বা ইয়ক
• স্টাম্পিং
“রোটর”
অল্টারনেটের রোটর দুই ধরনের:
• স্যালিয়েন্ট পোল
• নন স্যালিয়েন্ট পোল
অল্টারনেটের রোটর দুই ধরনের:
• স্যালিয়েন্ট পোল
• নন স্যালিয়েন্ট পোল
03. এক্সাইটার”
অল্টারনেটরে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ডি সি প্রবাহ দেয়ার জন্য রোটর শ্যাফ্টের সঙ্গে সংযুক্ত একটি ছোট শান্ট জেনারেটর ব্যবহার করা হয় যাকে এক্সাইটার বলা হয়। এক্সাইটার থেকে বিদ্যুত কারেন্ট ব্রাশ ও স্লিপ রিং হয়ে কয়েলে যায়।
04. অল্টারনেটরের মুলতত্ত্ব
তড়িৎ-চৌম্বক আবেশের (Electromagnetic induction) তত্ত্বের উপর ভিত্তি করে অল্টারনেটর তৈরি করা হয়। ডি সি জেনারেটরের মত অল্টারনেটরেও আর্মেচার ও চৌম্বকক্ষেত্র থাকে। অল্টারনেটরে আর্মেচার ওয়াইন্ডিং একটি স্থির কাঠামোর উপর বসানো থাকে। একে স্টেটর বলা হয়। আর মেশিনের চৌম্বক কয়েল একটি ঘূর্ণনশীল কাঠামোর উপর বসানো থাকে যাকে রোটর বলা হয়। একটি ঢালাই লোহার ফ্রেমের সাথে আর্মেচার ও স্টেটরের কেন্দ্রভাগ আটকানো থাকে। কেন্দ্রভাগের ভিতরের দিকে ওয়ান্ডিং বসানোর জন্য খাঁজ কাটা থাকে। রোটরের বাইরের দিকে পর্যায়ক্রমে দক্ষিণ ও উত্তর মেরু সৃষ্টি হয়। পোলের গায়ে জড়ানো কয়েল দিয়ে ডি সি সাপ্লাই থেকে ১২৫ কিংবা ২৫০ ভোল্টে বিদ্যুত প্রবাহিত হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ডি সি প্রবাহ দেয়ার জন্য রোটর শ্যাফ্টের সঙ্গে সংযুক্ত একটি ছোট শান্ট জেনারেটর ব্যবহার করা হয় যাকে এক্সাইটার বলা হয়। এক্সাইটার থেকে বিদ্যুত কারেন্ট ব্রাশ ও স্লিপ রিং হয়ে কয়েলে জায়। রোটর ঘুরতে আরম্ভ করলে সে সঙ্গে চুম্বক বলরেখাও ঘুরতে থাকে। ঘুরন্ত চৌম্বক বলরেখা যখন স্টেটরের খাঁজে বসানো পরিবাহকগুলোকে ছেদ করে, তখন তড়িৎ-চুম্বকীয় আবেশের নিয়ম অণুযায়ী প্রতিটি পরিবাহকে তড়িচ্চালক শক্তি আবিষ্ট হয়। আবিষ্ট পরিবাহকের অভিমুখ ফ্লেমিং এর দক্ষিণ হাত নিয়ম থেকে জানা যায়। এ নিয়ম প্রয়োগ করলে দেখা যায় কোন পরিবাহকের সামনে যখন দক্ষিণ প্রান্ত এসে দাঁড়ায় তখন আবিষ্ট তড়িচ্চালক শক্তি ও বিদ্যুৎ যে দিকে কাজ করে উত্তর প্রান্ত আসলে তার বিপরিত হয়। ফলে আর্মেচারের আবিষ্ট তড়িচ্চালক শক্তিও তড়িৎ দিক পরবর্তি হয়।
05. সব অল্টারনেটরই জেনারেটর কিন্ত সব জেনারেটর অল্টারনেটর নয়?
“অল্টারনেটর এমন একটি জেনারেটর যা পরিবর্তনশীল ভোল্টেজ (AC) উৎপন্ন করে এবং জেনারেটর মেকানিক্যাল এনার্জী কে ইলেকট্রিক্যাল এনার্জীতে পরিবর্তন করে যা AC or DC উভয়ই হতে পারে। যে কোন জেনারেটরের আর্মেচার ওয়াইন্ডিংয়ে প্রথমত পরিবর্তনশীল ভোল্টেজ উৎপন্ন হয়। কিন্তু ডি সি জেনারেটরের বেলায় পরিবর্তনশীল ভোল্টেজকে কম্যুটেটরের মাধ্যমে ডি সি তে রুপান্তরিত করে লোডে সরবরাহ করা হয়। উচ্চ চাপ ও ক্ষমতার অল্টারনেটরে সাধারণত চৌম্বকক্ষেত্রকে ঘুরিয়ে ভোল্টেজ উৎপন্ন করা হয়। তাই বলা যায়
“সব অল্টারনেটরই জেনারেটর কিন্ত সব জেনারেটর অল্টারনেটর নয়”।
06. আল্টারনেটর, এসি জেনারেটর ও ডিসি জেনারেটর এর মধ্যে প্রধান পার্থক্য কি কি?
অল্টারনেটর ও এসি জেনারেটর একই। এখন তাহলে আসি এসি জেনারেটর ও ডিসি জেনারেটর এর মধ্যে পার্থক্যে,এসি জেনারেটর ও ডিসি জেনারেটর উভয়ই এসি কারেন্ট উৎপন্ন করে।কিন্তু ডিসি জেনারেটরে ব্যবহৃত কমুটেটরের সাহায্যে এসি কে ডিসি তে রুপান্তরিত করে ব্রাশের মাধ্যমে বাইরের সার্কিটে আনা হয়।অপর পক্ষে এসি জেনারেটর এ উৎপন্ন এসি কারেন্টকে স্লিপ রিং এর সাহায্যে বাইরে আনা হয়।এ ক্ষেত্রে এসি কারেন্টই বাইরে আসে।তাছাড়া আরও কিছু পার্থক্য রয়েছে,যেমন:এসি জেনারেটর বা অল্টারনেটর আকারে বড়, ডিসি জেনারেটর আকারে ছোট।এর ফলে ওজন, দাম, ম্যাটেরিয়ালস সব কিছুই বেশী।
07. অল্টারনেটর এর সিনক্রোনাইজিং কি?
সার্কিটের লোড বৃদ্ধি পেলে এবং একটি অল্টারনেটর দ্বারা জদি সে বর্ধিত লোডের চাহিদা পুরন করা সম্ভব না হয়, তাহলে দুই বা ততোদিক অল্টারনেটরকে কিছু সর্ত সাপেক্ষে একটি আর একটির সাথে প্যারালেলে অপারেসন করা হয়.... আর এই পদ্ধতিকে সিক্রোনাইজিং বলে।
08. অল্টারনেটরের কিছু ফল্টসমুহঃ
(১) স্টেটর ওয়ান্ডিং ফল্ট।
(২) ওভার স্পিড।
(৩) ওভার কারেন্ট।
(৪) ওভার ভোল্টেজ।
(৫) আন্ডার ভোল্টেজ।
(৬) আনব্যালেন্স লোড।
(৭) ওভার লোড।
(৮) আন্ডার ফ্রিকুয়েন্সি।
(৯) রিভার্স পাওয়ার।
(১) স্টেটর ওয়ান্ডিং ফল্ট।
(২) ওভার স্পিড।
(৩) ওভার কারেন্ট।
(৪) ওভার ভোল্টেজ।
(৫) আন্ডার ভোল্টেজ।
(৬) আনব্যালেন্স লোড।
(৭) ওভার লোড।
(৮) আন্ডার ফ্রিকুয়েন্সি।
(৯) রিভার্স পাওয়ার।
No comments:
Post a Comment
Thanks for your comment.