01. বৈদ্যুতিক জেনারেটর কিঃ
জেনারেটর শব্দটি ইংরেজি শব্দ জেনারেট থেকে এসেছে, জেনারেট অর্থ উৎপন্ন করা এবং এটি পাওয়ার বা শক্তি উৎপন্ন করে।কিন্তু বৈদ্যুতিক জেনারেটর এমনএক ধরণের যন্ত্র যা যান্ত্রিক শক্তিকে বৈদ্যুতিক শক্তিতে রুপান্তরিত করে। অবশ্য ডায়নামো বলতে সাধারণ্যে কেবল জেনারেটরকেই বোঝানো হয়। প্রথম নির্মিত জেনারেটরকে ডায়নামো নামে আখ্যায়িত করা হয়েছিল। আর এ রুপান্তরের কাজের জন্য প্রয়োজন একটি চুম্বক ক্ষেত্র এবং আরমেচার,যার উপরিভাগে তারের কয়েল বসানো থাকে।
জেনারেটর শব্দটি ইংরেজি শব্দ জেনারেট থেকে এসেছে, জেনারেট অর্থ উৎপন্ন করা এবং এটি পাওয়ার বা শক্তি উৎপন্ন করে।কিন্তু বৈদ্যুতিক জেনারেটর এমনএক ধরণের যন্ত্র যা যান্ত্রিক শক্তিকে বৈদ্যুতিক শক্তিতে রুপান্তরিত করে। অবশ্য ডায়নামো বলতে সাধারণ্যে কেবল জেনারেটরকেই বোঝানো হয়। প্রথম নির্মিত জেনারেটরকে ডায়নামো নামে আখ্যায়িত করা হয়েছিল। আর এ রুপান্তরের কাজের জন্য প্রয়োজন একটি চুম্বক ক্ষেত্র এবং আরমেচার,যার উপরিভাগে তারের কয়েল বসানো থাকে।
02.জেনারেটরের আবিষ্কারকঃ
জেনারেটর আবিষ্কার করেন ইংল্যন্ডে জন্মগ্রহনকারি বিজ্ঞানী ফ্যারাড।যার জন্ম হয়েছিল ১৭৯১ সালের ২২শে সেপ্টেম্বর।
জেনারেটর আবিষ্কার করেন ইংল্যন্ডে জন্মগ্রহনকারি বিজ্ঞানী ফ্যারাড।যার জন্ম হয়েছিল ১৭৯১ সালের ২২শে সেপ্টেম্বর।
আবিষ্কারঃ
২১ বছর বয়সে একদিন হঠাৎ করে তিনি স্যারহামফ্রের সাথে কাজ করার সুযোগ পেলেন।হামফ্রে তাকে ল্যাবরেটরির বোতল ধোয়ার কাজ দিলেন।কাজের ফাঁকেই তিনি হামফ্রের গবেষণা মনযোগসহকারে দেখতেন।দেখা, শেখা আর নিজের প্রচেষ্টা।এর পথ ধরে তিনি মানব জাতির উন্নয়নে রাখেন মহামূল্যবান অবদান।
২১ বছর বয়সে একদিন হঠাৎ করে তিনি স্যারহামফ্রের সাথে কাজ করার সুযোগ পেলেন।হামফ্রে তাকে ল্যাবরেটরির বোতল ধোয়ার কাজ দিলেন।কাজের ফাঁকেই তিনি হামফ্রের গবেষণা মনযোগসহকারে দেখতেন।দেখা, শেখা আর নিজের প্রচেষ্টা।এর পথ ধরে তিনি মানব জাতির উন্নয়নে রাখেন মহামূল্যবান অবদান।
তার যুগান্তকারী আবিস্কারের মধ্যেচৌম্বকের সাথে তড়িতের সম্পর্ক।এর মাধ্যমেই শক্তিরএকবিশাল রূপান্তর মানবজাতির হাতে আসে।
১৭৩৩ সালে ডাচবিজ্ঞানী পিটারভ্যান স্থিরতড়িৎ ধরে রাখার জন্য লেডেনজারনামে একপ্রকার যন্ত্র তৈরি করে ন। ১৭৪৮ সলে বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিন (১৭০৬-১৭৯০) পিটার ভ্যানের কয়েকটা লেডেনজার সেল একত্র করে তৈরি করেন তড়িৎ ধারক বাব্যাটারি ।তিনি এই ব্যাটারি কেচার্জ করার জন্য একপ্রকার যন্ত্র ব্যবহার করেন। সেটাই ছিল সম্ভবত প্রথম বিদ্যু ১৮৩১ খ্রিস্টাব্দে স্যার হামফ্রে ডেভিরল্যা বে কাজ করার সময় ফ্যারাড লক্ষ্য করেন একটা তারের কুণ্ডলীর মধ্য দিয়ে চুম্বককে আনা-নেওয়া করলে ভোল্টেজ উৎপন্ন হয়।
১৭৩৩ সালে ডাচবিজ্ঞানী পিটারভ্যান স্থিরতড়িৎ ধরে রাখার জন্য লেডেনজারনামে একপ্রকার যন্ত্র তৈরি করে ন। ১৭৪৮ সলে বেঞ্জামিন ফ্রাঙ্কলিন (১৭০৬-১৭৯০) পিটার ভ্যানের কয়েকটা লেডেনজার সেল একত্র করে তৈরি করেন তড়িৎ ধারক বাব্যাটারি ।তিনি এই ব্যাটারি কেচার্জ করার জন্য একপ্রকার যন্ত্র ব্যবহার করেন। সেটাই ছিল সম্ভবত প্রথম বিদ্যু ১৮৩১ খ্রিস্টাব্দে স্যার হামফ্রে ডেভিরল্যা বে কাজ করার সময় ফ্যারাড লক্ষ্য করেন একটা তারের কুণ্ডলীর মধ্য দিয়ে চুম্বককে আনা-নেওয়া করলে ভোল্টেজ উৎপন্ন হয়।
এই আবিষ্কার কে ফ্যারাডের তড়িচ্চৌম্বক নীতি বলা হয়।এই নীতির উপর ভিত্তি করে ফ্যারাডেই প্রথম তড়িচ্চৌম্বক জেনারেটর তৈরি করেন যা চল তড়িৎ উৎপাদন করতে সক্ষম হয়।তার জেনারেটর বা ডায়নামোটিকে “ফ্যারাডেডিস্ক” বলা হয়।অশ্ব ক্ষুরাকৃতির একটি চুম্বকের দুই মেরুর মাঝখানে স্থাপিত কপার চাকতির ঘূর্ণন ব্যবহার করে এই যন্ত্রে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হয়।
03. প্রকারভেদঃ
• এসি জেনারেটর
• ডিসি জেনারেটর
ডিসি জেনারেটর আবার দুই প্রকার যথাঃ
• সেপারেটলি এক্সাইটেড জেনারেটর।
• সেলফ এক্সাইটেড জেনারেটর।
• সেপারেটলি এক্সাইটেড জেনারেটর।
• সেলফ এক্সাইটেড জেনারেটর।
সেলফ এক্সাইটেড জেনারেটর আবার তিন প্রকার যথাঃ
• শান্ট জেনারেটর।
• সিরিজ জেনারেটর।
• কম্পাউন্ড জেনারেটর।
কম্পাউন্ড জেনারেটর আবার দুই প্রকার যথাঃ
• শর্ট শান্ট কম্পাউন্ড জেনারেটর।
• লং শান্ট কম্পানারেটর।
• শর্ট শান্ট কম্পাউন্ড জেনারেটর।
• লং শান্ট কম্পানারেটর।
04. গঠনঃ
এতে একটি ক্ষেত্রচুম্বক থাকে। চুম্বকের মধ্যবর্তী স্থানে একটি কাচা লোহার পাতের উপর একটি তারের আয়তকারে কুণ্ডলী থাকে। কাচা লোহার পাতটিকে আর্মেচার বলে। আর্মেচারটিকে চুম্বকের দুই মেরুর মধ্যবর্তী স্থানে যান্ত্রিক উপায়ে সম দ্রুতিতে ঘুরানো হয়। আয়তকার কুণ্ডলীর দুই প্রান্ত দুইটি স্প্রিং এর সাথে সংযুক্ত থাকে। স্প্রিং দুইটি আর্মেচারের একই অক্ষ বরাবর ঘুরতে পারে। দুইটি কার্বন নির্মিত ব্রাশ এমনভাবে স্থাপন করা হয় যেন তারা যখন আর্মেচার ঘুরতে থাকে তখন স্প্রিং দুইটিকে স্পর্শ করে থাকে। ব্রাস দুইটির সাথে বহিবর্তনীর জ রোধ সংযুক্ত থাকে।
এতে একটি ক্ষেত্রচুম্বক থাকে। চুম্বকের মধ্যবর্তী স্থানে একটি কাচা লোহার পাতের উপর একটি তারের আয়তকারে কুণ্ডলী থাকে। কাচা লোহার পাতটিকে আর্মেচার বলে। আর্মেচারটিকে চুম্বকের দুই মেরুর মধ্যবর্তী স্থানে যান্ত্রিক উপায়ে সম দ্রুতিতে ঘুরানো হয়। আয়তকার কুণ্ডলীর দুই প্রান্ত দুইটি স্প্রিং এর সাথে সংযুক্ত থাকে। স্প্রিং দুইটি আর্মেচারের একই অক্ষ বরাবর ঘুরতে পারে। দুইটি কার্বন নির্মিত ব্রাশ এমনভাবে স্থাপন করা হয় যেন তারা যখন আর্মেচার ঘুরতে থাকে তখন স্প্রিং দুইটিকে স্পর্শ করে থাকে। ব্রাস দুইটির সাথে বহিবর্তনীর জ রোধ সংযুক্ত থাকে।
কার্যপ্রণালীঃ
যখন আর্মেচারটিকে ঘুরানো হয় তখন আর্মেচার কুণ্ডলী চৌম্বকক্ষেত্রের বলরেখাগুলোকে ছেদ করে এবং তাড়িতচৌম্বক আবেশের নিয়মানুযায়ী কুণ্ডলীতে তড়িৎ চালক শক্তি আবিষ্ট হয়। এখন কুণ্ডলীটির দুই প্রান্ত বহিবর্তনীর সাথে সংযুক্ত থাকায় বর্তনীতে পর্যাবৃত্ত তড়িৎপ্রবাহের উৎপত্তি হয়। আবিস্ট তড়িৎপ্রবাহের মান প্রধানত চৌম্বকক্ষেত্রের প্রাবল্য ও ঘূর্ণন বেগের উপর নির্ভর করে। কুণ্ডলীর একবার ঘূর্ণনের মধ্যে আবিস্ট তড়িৎপ্রবাহের অভিমুখও একবার পরিবর্তিত হয়। এভাবে যান্ত্রিক শক্তি থেকে পরিবর্তী প্রবাহ উৎপন্ন হয়।
জেনারেটরের বিভিন্ন অংশের পরিচিতি ও বর্ণনাঃ
যখন আর্মেচারটিকে ঘুরানো হয় তখন আর্মেচার কুণ্ডলী চৌম্বকক্ষেত্রের বলরেখাগুলোকে ছেদ করে এবং তাড়িতচৌম্বক আবেশের নিয়মানুযায়ী কুণ্ডলীতে তড়িৎ চালক শক্তি আবিষ্ট হয়। এখন কুণ্ডলীটির দুই প্রান্ত বহিবর্তনীর সাথে সংযুক্ত থাকায় বর্তনীতে পর্যাবৃত্ত তড়িৎপ্রবাহের উৎপত্তি হয়। আবিস্ট তড়িৎপ্রবাহের মান প্রধানত চৌম্বকক্ষেত্রের প্রাবল্য ও ঘূর্ণন বেগের উপর নির্ভর করে। কুণ্ডলীর একবার ঘূর্ণনের মধ্যে আবিস্ট তড়িৎপ্রবাহের অভিমুখও একবার পরিবর্তিত হয়। এভাবে যান্ত্রিক শক্তি থেকে পরিবর্তী প্রবাহ উৎপন্ন হয়।
জেনারেটরের বিভিন্ন অংশের পরিচিতি ও বর্ণনাঃ
সকল ধরনের ডিসি জেনারেটর দুটি সার্কিট দ্বারা গঠিত,যথা-
• ম্যাগনেটিক সার্কিট
• ইলেকট্রিক সার্কিট
• ম্যাগনেটিক সার্কিট
• ইলেকট্রিক সার্কিট
ম্যাগনেটিক সার্কিটঃ
05. নিম্নলিখিত অংশগুলি দ্বারা এই সার্কিট গঠিত হয়, যথাঃ
1. ইয়োক বা ফ্রেমঃ জেনারেটরের বাইরের আবরন বা স্তরকে ইয়ক বা ফ্রেম বলে।ছোট জেনারেটর এর ক্ষেত্রে এই ইয়কে কাস্ট আয়রন ব্যবহার করা হয় আর বড় জেনাটরের ক্ষেত্রে স্টিল ব্যবহার করা হয়।
• পোল কোরঃএটি তামার তার দ্বারা তৈরী যা প্রতিটি পোলে সুন্দর ভাবে সাজানো থাকে।
• আরমেচার কোরঃ জেনারেটরের ভিতরে যে অংশটুকু অবিরাম ঘুরে,তাকেই আর্মেচার বলে। এটা দেখতে অনেকটা সিলিন্ডার এর মত যাতে তামার কন্ডাক্টর প্যাঁচানো থাকে।
• এয়ার গ্যাপঃ পোল এবং আরমেচারের মধ্যবর্তী ফাকা জায়গা কে এয়ার গ্যাপ বলে।
05. নিম্নলিখিত অংশগুলি দ্বারা এই সার্কিট গঠিত হয়, যথাঃ
1. ইয়োক বা ফ্রেমঃ জেনারেটরের বাইরের আবরন বা স্তরকে ইয়ক বা ফ্রেম বলে।ছোট জেনারেটর এর ক্ষেত্রে এই ইয়কে কাস্ট আয়রন ব্যবহার করা হয় আর বড় জেনাটরের ক্ষেত্রে স্টিল ব্যবহার করা হয়।
• পোল কোরঃএটি তামার তার দ্বারা তৈরী যা প্রতিটি পোলে সুন্দর ভাবে সাজানো থাকে।
• আরমেচার কোরঃ জেনারেটরের ভিতরে যে অংশটুকু অবিরাম ঘুরে,তাকেই আর্মেচার বলে। এটা দেখতে অনেকটা সিলিন্ডার এর মত যাতে তামার কন্ডাক্টর প্যাঁচানো থাকে।
• এয়ার গ্যাপঃ পোল এবং আরমেচারের মধ্যবর্তী ফাকা জায়গা কে এয়ার গ্যাপ বলে।
ইলেকট্রিক সার্কিটঃ
1. ফীল্ড কয়েলঃসুপার এনামেল কপার ওয়্যারের কয়েলের দ্বি-স্তর কাপড়ের আবরন দিয়ে ফিল্ড ওয়াইন্ডিং করা হয়।
2. আরমেচার ওয়াইন্ডিংঃএটা হলো আর্মেচার স্লটের বাঁকি অংশ যা কন্ডাক্টর দ্বারা প্যাঁচানো থাকে।
3. কম্যুটেটরঃএটা দেখতে গোলাকার বিয়ারিং এর মত যার মাধ্যমে এতে কারেন্ট এসে জমা হয়ে থাকে পরবর্তী ধাপে যাবার জন্য।
4. ব্রাশঃএটা কার্বন গ্রাফাইটের তৈরি। এটা ব্রাশ কন্টাক্ট এর জন্য ব্যবহার করা হয় যা আউটপুটে সাপ্লাই দিয়ে থাকে।
06. জেনারেটর চালু/বন্ধ করার নিয়ম !
১। প্রথমে ইঞ্জিন রুমে ইঞ্জিন ফিজিক্যালি চেক করতে হবে (ওয়েল লিকেজ, ওয়াটার লিকেজ, ফুয়েল লাইন)।
২। গ্যাসের লাইন/ডিজেল লাইন অন করতে হবে। গ্যাসের প্রেসার চেক করতে হবে। এয়ার ফিল্টার চেক করতে হবে ।
৩। ইঞ্জিনে পানি ও লুব ওয়েল সঠিক পরিমান আছে কিনা দেখতে হবে । পানি দেখার জন্য ওয়াটার লেভেল ইন্ডিকেটর ও লুব ওয়েল দেখার জন্যডিপ স্টিক দেখে লেভেল দেখা হয়।
৪। ব্যাটারী ভোল্টেজ ও কানেকশন টাইট কিনা দেখতে হবে।
৫। এবার কন্ট্রোল পানেলে এসে চেক করে কন্ট্রোল প্যানেলের পাওয়ার অন করতে হবে ।
৬। দিয়ে ইঞ্জিন চালু করতে হবে। ইহা এ রাখলে ইঞ্জিন চালু হবে (আগে দেখে নিন সুইস কোন পজিশনে আছে, এটা IDLE এ থাকবে।
৭। IDLE এ কিছুক্ষন চলবে (সাধারণত ৩-৫ মিনিট)। RPM 1000-1100 হবে (যদি Rated Speed 1500 হয়)। ইঞ্জিন ও জেনারেটর মিটারিং চেক করতে হবে। সব ঠিক থাকলে Rated Speed এ দিতে হবে । এই ভাবে আরো ২-৪ মিনিট চলতে দিতে হবে। Rated Speed এ আবার সকল মিটারিং দেখে নিতে হবে। সব ঠিক থাকলে-
৮। এবার ইঞ্জিন লোড দেবার জন্য রেডি থাকতে হবে। বাস ভোল্টেজ ও ফ্রিকুয়েন্সি এর সাথে জেনারেটরের ভোল্টেজ ও ফ্রিকুয়েন্সি সমান করতে হবে। এটা সাধারণত Auto হয়ে থাকে। Auto না হলে মানুয়ালি Adjust করে নিতে হবে।
৯। Auto বা ACB Close বা Hand ON LOAD বাটনে প্রেস করলে ইঞ্জিন লোড নিবে । এটা টাচ স্ক্রিনে বা ম্যানুয়াল সুইসে হতে পারে।
১০। ACB ক্লোজ হলে লোড বাড়াতে হবে, লোডের সুইস অন করতে হবে। প্যারালেলে অন্য ইঞ্জিন থাকলে ভাল ভাবে লোড শেয়ার করে দিতে হবে। Droop Mode এ থাকলে মানুয়ালি লোড Adjust করতে হবে, Isochronus Mode থাকলে Auto লোড শেয়ার (Rated Load সেটিং অনুযায়ী) হবে।
১১। লোড অবস্থায় আবার সকল মিটারিং চেক করতে হবে ।
১২। সকল মিটারিং লগ বইয়ে লিখতে হবে, প্রতি ঘন্টায় তা চেকে করে লগ বইয়ে লিখে সংরক্ষণ করতে হবে ।
১৩। বন্ধ করার জন্য ইঞ্জিনের লোড আস্তে আস্তে কমাতে হবে । STOP/Cooldown অপশন থাকলে এখানে প্রেস করলে ইঞ্জিনের লোড আস্তে আস্তে কমে গিয়ে ACB Open হয়ে যাবে । তারপর Rated Speed থেকে Idle Speed এ আসবে এবং Auto ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যাবে । এভাবে Auto Mode না থাকলে এই অপশনগুলো ম্যানুয়ালি করে নিতে হবে।
১৪। ইঞ্জিন বন্ধ অবস্থায় কন্ট্রোল প্যানেলের, ব্যাটারী চার্জার ও ইঞ্জিনের ডিসি পাওয়ার অন রাখাই ভাল। গ্যাসের/ফুয়েলের লাইন বন্ধ রাখতে হবে।
১৫। কোন কিছু না বুঝে কন্ট্রোল সিস্টেমে কাজ করবেন না।
2. আরমেচার ওয়াইন্ডিংঃএটা হলো আর্মেচার স্লটের বাঁকি অংশ যা কন্ডাক্টর দ্বারা প্যাঁচানো থাকে।
3. কম্যুটেটরঃএটা দেখতে গোলাকার বিয়ারিং এর মত যার মাধ্যমে এতে কারেন্ট এসে জমা হয়ে থাকে পরবর্তী ধাপে যাবার জন্য।
4. ব্রাশঃএটা কার্বন গ্রাফাইটের তৈরি। এটা ব্রাশ কন্টাক্ট এর জন্য ব্যবহার করা হয় যা আউটপুটে সাপ্লাই দিয়ে থাকে।
06. জেনারেটর চালু/বন্ধ করার নিয়ম !
১। প্রথমে ইঞ্জিন রুমে ইঞ্জিন ফিজিক্যালি চেক করতে হবে (ওয়েল লিকেজ, ওয়াটার লিকেজ, ফুয়েল লাইন)।
২। গ্যাসের লাইন/ডিজেল লাইন অন করতে হবে। গ্যাসের প্রেসার চেক করতে হবে। এয়ার ফিল্টার চেক করতে হবে ।
৩। ইঞ্জিনে পানি ও লুব ওয়েল সঠিক পরিমান আছে কিনা দেখতে হবে । পানি দেখার জন্য ওয়াটার লেভেল ইন্ডিকেটর ও লুব ওয়েল দেখার জন্যডিপ স্টিক দেখে লেভেল দেখা হয়।
৪। ব্যাটারী ভোল্টেজ ও কানেকশন টাইট কিনা দেখতে হবে।
৫। এবার কন্ট্রোল পানেলে এসে চেক করে কন্ট্রোল প্যানেলের পাওয়ার অন করতে হবে ।
৬। দিয়ে ইঞ্জিন চালু করতে হবে। ইহা এ রাখলে ইঞ্জিন চালু হবে (আগে দেখে নিন সুইস কোন পজিশনে আছে, এটা IDLE এ থাকবে।
৭। IDLE এ কিছুক্ষন চলবে (সাধারণত ৩-৫ মিনিট)। RPM 1000-1100 হবে (যদি Rated Speed 1500 হয়)। ইঞ্জিন ও জেনারেটর মিটারিং চেক করতে হবে। সব ঠিক থাকলে Rated Speed এ দিতে হবে । এই ভাবে আরো ২-৪ মিনিট চলতে দিতে হবে। Rated Speed এ আবার সকল মিটারিং দেখে নিতে হবে। সব ঠিক থাকলে-
৮। এবার ইঞ্জিন লোড দেবার জন্য রেডি থাকতে হবে। বাস ভোল্টেজ ও ফ্রিকুয়েন্সি এর সাথে জেনারেটরের ভোল্টেজ ও ফ্রিকুয়েন্সি সমান করতে হবে। এটা সাধারণত Auto হয়ে থাকে। Auto না হলে মানুয়ালি Adjust করে নিতে হবে।
৯। Auto বা ACB Close বা Hand ON LOAD বাটনে প্রেস করলে ইঞ্জিন লোড নিবে । এটা টাচ স্ক্রিনে বা ম্যানুয়াল সুইসে হতে পারে।
১০। ACB ক্লোজ হলে লোড বাড়াতে হবে, লোডের সুইস অন করতে হবে। প্যারালেলে অন্য ইঞ্জিন থাকলে ভাল ভাবে লোড শেয়ার করে দিতে হবে। Droop Mode এ থাকলে মানুয়ালি লোড Adjust করতে হবে, Isochronus Mode থাকলে Auto লোড শেয়ার (Rated Load সেটিং অনুযায়ী) হবে।
১১। লোড অবস্থায় আবার সকল মিটারিং চেক করতে হবে ।
১২। সকল মিটারিং লগ বইয়ে লিখতে হবে, প্রতি ঘন্টায় তা চেকে করে লগ বইয়ে লিখে সংরক্ষণ করতে হবে ।
১৩। বন্ধ করার জন্য ইঞ্জিনের লোড আস্তে আস্তে কমাতে হবে । STOP/Cooldown অপশন থাকলে এখানে প্রেস করলে ইঞ্জিনের লোড আস্তে আস্তে কমে গিয়ে ACB Open হয়ে যাবে । তারপর Rated Speed থেকে Idle Speed এ আসবে এবং Auto ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যাবে । এভাবে Auto Mode না থাকলে এই অপশনগুলো ম্যানুয়ালি করে নিতে হবে।
১৪। ইঞ্জিন বন্ধ অবস্থায় কন্ট্রোল প্যানেলের, ব্যাটারী চার্জার ও ইঞ্জিনের ডিসি পাওয়ার অন রাখাই ভাল। গ্যাসের/ফুয়েলের লাইন বন্ধ রাখতে হবে।
১৫। কোন কিছু না বুঝে কন্ট্রোল সিস্টেমে কাজ করবেন না।
07. জেনারেটর এর কিছু প্রশ্ন?
১) Reverse power কি?
যখন কোন জেনারেটর বাসবার হতে পাওয়ার নিয়ে ওল্টা ঘুরে। অর্থাৎ মোটেরের ন্যায় ঘুরে। তাকে Reverse power বলে।
যখন কোন জেনারেটর বাসবার হতে পাওয়ার নিয়ে ওল্টা ঘুরে। অর্থাৎ মোটেরের ন্যায় ঘুরে। তাকে Reverse power বলে।
২) Reverse power কেন হয়?
মনে করি কোন প্লান্টে দুই বা দুয়ের অধিক জেনারেটর সিনক্রোনাইজিং করা আছে। কারন বশত একটি জেনারেটর ট্রিপ করছে।কিন্তু ওই জেনারেটর ব্রেকার ট্রিপ করেন নাই।ফলে উক্ত জেনারেটরটি বাসবার হতে উল্টা পাওয়ার গ্রহন করে মোটরের ন্যায় ঘুরতে থাকবে।
মনে করি কোন প্লান্টে দুই বা দুয়ের অধিক জেনারেটর সিনক্রোনাইজিং করা আছে। কারন বশত একটি জেনারেটর ট্রিপ করছে।কিন্তু ওই জেনারেটর ব্রেকার ট্রিপ করেন নাই।ফলে উক্ত জেনারেটরটি বাসবার হতে উল্টা পাওয়ার গ্রহন করে মোটরের ন্যায় ঘুরতে থাকবে।
৩) Reverse power হলে কি করনীয়?
Reverse power অবস্থায় জেনারেটর কোন অবস্থায় বন্ধ হবে না।
যে পর্যন্ত ব্রেকার (ACB) বন্ধ না করা হবে।
কারন তখন অলটারনেটরটি বাসবার হতে পাওয়ার নিয়ে মোটরের ন্যায় ঘুরছে। ব্রেকার বন্ধ করে দিলে ইন্জিনও বন্ধ হয়ে যাবে।
Reverse power অবস্থায় জেনারেটর কোন অবস্থায় বন্ধ হবে না।
যে পর্যন্ত ব্রেকার (ACB) বন্ধ না করা হবে।
কারন তখন অলটারনেটরটি বাসবার হতে পাওয়ার নিয়ে মোটরের ন্যায় ঘুরছে। ব্রেকার বন্ধ করে দিলে ইন্জিনও বন্ধ হয়ে যাবে।
৪) Reverse power কে কিভাবে প্রটেকশন করা হয়?
Reverse power প্রটেকশনের জন্য বর্তমানে সকল কন্ট্রোল প্যানেলে একটি নির্ধারিত পয়েন্ট করা থাকে।ফলে নির্ধারিত পয়েন্ট অতিক্রম করলেও ব্রেকার সংক্রিয়ভাবে ট্রিপ হয়ে যায়।
এটি সাধারনত জেনারেটরের ক্যাপাসিটির ১০% অনুযায়ী করা হয়।যেমনঃ একটি জেনারেটরের ক্যাপাসিটি 1600 kw হলে। তার Reverse power সাধারণত 160 kw করা থাকে। ফলে Reverse power 160 kw হলেও ব্রেকার (ACB) ট্রিপ করে।
Reverse power প্রটেকশনের জন্য বর্তমানে সকল কন্ট্রোল প্যানেলে একটি নির্ধারিত পয়েন্ট করা থাকে।ফলে নির্ধারিত পয়েন্ট অতিক্রম করলেও ব্রেকার সংক্রিয়ভাবে ট্রিপ হয়ে যায়।
এটি সাধারনত জেনারেটরের ক্যাপাসিটির ১০% অনুযায়ী করা হয়।যেমনঃ একটি জেনারেটরের ক্যাপাসিটি 1600 kw হলে। তার Reverse power সাধারণত 160 kw করা থাকে। ফলে Reverse power 160 kw হলেও ব্রেকার (ACB) ট্রিপ করে।
৫) কিভাবে Reverse power রিলে সাহায্যে জেনারেটরের Reverse Power প্রটেকশন করা হয়?
কারনবশত জেনারেটরটি বাসবার হতে হতে পাওয়ার গ্রহন করে।তখন Reverse power রিলের সাহায্যে প্রটেকশন দেওয়া হয়। বাসবার প্রান্তে Current Transformer (CT) সংযোগ করা থাকে। ফলে যখন বাসবার হতে জেনারেটর পাওয়ার গ্রহন করে। তখন CT এর রেশিও অনুপাতে Reverse power রিলেতে কারেন্ট প্রবাহিত হতে থাকে।ফলে Reverse power রিলে সংক্রিয় হয়ে ব্রেকার (ACB) কে ট্রিপ করে দেয়।
কারনবশত জেনারেটরটি বাসবার হতে হতে পাওয়ার গ্রহন করে।তখন Reverse power রিলের সাহায্যে প্রটেকশন দেওয়া হয়। বাসবার প্রান্তে Current Transformer (CT) সংযোগ করা থাকে। ফলে যখন বাসবার হতে জেনারেটর পাওয়ার গ্রহন করে। তখন CT এর রেশিও অনুপাতে Reverse power রিলেতে কারেন্ট প্রবাহিত হতে থাকে।ফলে Reverse power রিলে সংক্রিয় হয়ে ব্রেকার (ACB) কে ট্রিপ করে দেয়।
08. ডি,সি জেনারেটর রেটিং কিসে করা হয়?
উত্তরঃকিলোওয়াট এ।
উত্তরঃকিলোওয়াট এ।
09. ডি,সি মোটর রেটিং কিসে করা হয়?
উত্তরঃ এইচ পি তে।
উত্তরঃ এইচ পি তে।
10. ডি,সি মেশিনে পোলের সংখ্যা কত?
উত্তরঃ৪ টি।
উত্তরঃ৪ টি।
11. ডি,সি মেশিনে আম্রেচার কোথায়
থাকে?
উত্তরঃ রোটর এ থাকে।
থাকে?
উত্তরঃ রোটর এ থাকে।
12. ডি,সি মেশিনে আম্রেচার ফিল্ড
কোথায় থাকে ?
উত্তরঃফিল্ড স্টাটর এ থাকে।
কোথায় থাকে ?
উত্তরঃফিল্ড স্টাটর এ থাকে।
13. কমুটেটর এর কাজ কী ?
উত্তরঃডি,সি জেনারেটর এ এ,সি কারেন্ট কে
ডি,সি তে রুপান্তরিত করে।
উত্তরঃডি,সি জেনারেটর এ এ,সি কারেন্ট কে
ডি,সি তে রুপান্তরিত করে।
14. কমুটেটর কী দিয়ে প্রস্তুত করা হয়?
উত্তরঃ টানা শক্ত কপার দিয়ে।
উত্তরঃ টানা শক্ত কপার দিয়ে।
15. ক্যাপাসিটর কেন শুধু এ,সি তে কাজ
করে?
উত্তরঃকারন,ক্যাপাসিটর যখন চারজ ধরে রাখে
,তখন সেটা পজিটিভ সিগনাল রুপে কাজ করে।
আবার যখন চারজ ছেরে দেয়, তখন সেটা
নেগেটিভ সিগনাল রুপে কাজ করে। মানে পজেটিভ
আর নেগেটিভ প্রান্ত থাকে।আর তা একমাত্র
এ,সি তে সম্ভব।তাই ক্যাপাসিটর শুধু এ,সি তেই
কাজ করে।
করে?
উত্তরঃকারন,ক্যাপাসিটর যখন চারজ ধরে রাখে
,তখন সেটা পজিটিভ সিগনাল রুপে কাজ করে।
আবার যখন চারজ ছেরে দেয়, তখন সেটা
নেগেটিভ সিগনাল রুপে কাজ করে। মানে পজেটিভ
আর নেগেটিভ প্রান্ত থাকে।আর তা একমাত্র
এ,সি তে সম্ভব।তাই ক্যাপাসিটর শুধু এ,সি তেই
কাজ করে।
16. পাওয়ার ফ্যাক্টর কিভাবে ইম্প্রুভ করা
যায়?
উত্তরঃ
০১) ফেজ এডভান্সার দিয়ে।
০২) সিনক্রোনাইজিং কনডেনসার দিয়ে।
০৩)ক্যাপাসিটর ব্যাংক দিয়ে।
যায়?
উত্তরঃ
০১) ফেজ এডভান্সার দিয়ে।
০২) সিনক্রোনাইজিং কনডেনসার দিয়ে।
০৩)ক্যাপাসিটর ব্যাংক দিয়ে।
17. R.T.D কী?
উত্তরঃ রেজিসটিভ টেম্পারেচার ডিটেকটার।
18. ডিসি জেনারেটর কি?
ডিসি জেনারেটর : যে প্রক্রিয়ায় কোনো ডিভাইস বা মেশিন কে কাজে লাগিয়ে আমরা মেকানিক বা যান্ত্রিক শক্তিকে ইলেকট্রিক্যাল বা বিদ্যুৎ শক্তি উৎপন্ন করি তাকেই মূলত জেনারেটর বলে।
প্রথম অবস্থায় সকল জেনারেটরে এসি ভোল্টেজ উৎপন্ন হয়। সেই এসি ভোল্টেজ কে কমুটেটর এর মাধ্যমে ডিসি ভোল্টেজ রুপান্তর করা হয়। আর এই ডিসি ভোল্টেজ উৎপন্ন হওয়ার পর আমরা এই জেনানেটরকে ডিসি জেনারেটর বলে থাকি।
জেনারেটর ফ্লেমিং এর ডান হস্ত নিয়ম অনুসারে ঘূর্ণায়মান থাকে।
উত্তরঃ রেজিসটিভ টেম্পারেচার ডিটেকটার।
18. ডিসি জেনারেটর কি?
ডিসি জেনারেটর : যে প্রক্রিয়ায় কোনো ডিভাইস বা মেশিন কে কাজে লাগিয়ে আমরা মেকানিক বা যান্ত্রিক শক্তিকে ইলেকট্রিক্যাল বা বিদ্যুৎ শক্তি উৎপন্ন করি তাকেই মূলত জেনারেটর বলে।
প্রথম অবস্থায় সকল জেনারেটরে এসি ভোল্টেজ উৎপন্ন হয়। সেই এসি ভোল্টেজ কে কমুটেটর এর মাধ্যমে ডিসি ভোল্টেজ রুপান্তর করা হয়। আর এই ডিসি ভোল্টেজ উৎপন্ন হওয়ার পর আমরা এই জেনানেটরকে ডিসি জেনারেটর বলে থাকি।
জেনারেটর ফ্লেমিং এর ডান হস্ত নিয়ম অনুসারে ঘূর্ণায়মান থাকে।
19. জেনারেটর কাকে বলে?
উত্তরঃ জেনারেটর এমন একটি যন্ত্র বা মেশিন যার সাহায্যে যান্ত্রিক শক্তিকে বৈদ্যুতিক শক্তিতে রুপান্তরিত করা হয় । আর এই রুপান্তর প্রক্রিয়ায় প্রয়োজন একটি চুম্বকক্ষেত্র (Magnetic field), একটি আরমেচার (যাহার উপরিভাগে তারের কয়েল বসানো থাকে) এবং আরমেচারটিকে চুম্বকক্ষেত্রের ভিতর ঘুরানোর জন্য প্রয়োজন একটি প্রাইমমুভার ।
আরমেচার কয়েলকে চুম্বকক্ষেত্রের ভিতর ঘুরালে
আরমেচার পরিবাহীতে ভোল্টেজ উৎপন্ন হবে, যাকে ই
এম এফ (electromotive force) বলে । অল্টারনেটর বলতে এসি জেনারেটরকে বুঝানো হয়। ডিসি জেনারেটরে কম্যুটেটর থাকে, যার সাহায্যে আউটপুটে এসিকে ডিসি করা হয়। সাধারনত জেনেরেটর বিদ্যুৎ উৎপাদনের কাজে ব্যাবহৃত হয়ে থাকে।
20. জেনারেটর কত প্রকার ও কি কি?
উত্তরঃ দুই প্রকার। যথাঃ-
ক) এসি জেনারেটর: যে জেনারেটর অল্টারনেটিং/
বিবর্তিত বিদ্যুৎ উৎপাদন করে।
খ) ডিসি জেনারেটর: যে জেনারেটর ডাইরেক্ট/একমুখী
বিদ্যুৎ উৎপাদন করে।
21. এসি জেনারেটর এর গঠন লিখ।
উত্তরঃ এসি জেনারেটর অধিক প্রচলিত।
গঠন: এতে একটি ক্ষেত্রচুম্বক থাকে। চুম্বকের মধ্যবর্তী
স্থানে একটি কাচা লোহার পাতের উপর একটি তারের
আয়তকারে কুণ্ডলী থাকে। কাচা লোহার পাতটিকে
আর্মেচার বলে। আর্মেচারটিকে চুম্বকের দুই মেরুর
মধ্যবর্তী স্থানে যান্ত্রিক উপায়ে সম দ্রুতিতে ঘুরানো
হয়। আয়তকার কুণ্ডলীর দুই প্রান্ত দুইটি স্প্রিং এর সাথে
সংযুক্ত থাকে। স্প্রিং দুইটি আর্মেচারের একই অক্ষ
বরাবর ঘুরতে পারে। দুইটি কার্বন নির্মিত ব্রাশ
এমনভাবে স্থাপন করা হয় যেন তারা যখন আর্মেচার
ঘুরতে থাকে তখন স্প্রিং দুইটিকে স্পর্শ করে থাকে।
ব্রাশ দুইটির সাথে বহিবর্তনীর রোধ সংযুক্ত থাকে।
22. এসি জেনারেটরের কার্যপ্রণালী লিখ।
উত্তরঃ কার্যপ্রণালীঃ
যখন আর্মেচারটিকে ঘুরানো হয় তখন আর্মেচার কুণ্ডলী চৌম্বকক্ষেত্রের বলরেখাগুলোকে ছেদ করে এবং তাড়িতচৌম্বক আবেশের নিয়মানুযায়ী কুণ্ডলীতে তড়িৎ চালক শক্তি আবিষ্ট হয়। এখন কুণ্ডলীটির দুই প্রান্ত বহিবর্তনীর সাথে সংযুক্ত থাকায় বর্তনীতে পর্যাবৃত্ত তড়িৎপ্রবাহের উৎপত্তি হয়। আবিষ্ট তড়িৎপ্রবাহের মান প্রধানত চৌম্বকক্ষেত্রের প্রাবল্য ও ঘূর্ণন বেগের উপর নির্ভর করে। কুণ্ডলীর একবার ঘূর্ণনের মধ্যে আবিষ্ট তড়িৎপ্রবাহের অভিমুখও একবার পরিবর্তিত হয়। এভাবে যান্ত্রিক শক্তি থেকে বিদ্যুৎ শক্তি উৎপন্ন হয়।
23. ডিসি জেনারেটর এর বিভিন্ন অংশ কি কি?
উত্তরঃ
1. ইয়ক বা ফ্রেম
2. পোল কোর এবং পোল সু
3. ফিল্ড কয়েল
4. আর্মেচার কোর
5. আর্মেচার ওয়াইন্ডিং
6. কম্যুটেটর
7. ব্রাশ এবং বিয়ারিং।
24. ডিসি জেনারেটরের প্রকারগুলো কি কি?
উত্তরঃ ডিসি জেনারেটর প্রধানত দুই প্রকার:
ক) সেল্ফ এক্সাইটেড (Self exited)
খ) সেপারেটলি এক্সাইটেড (Separately exited)
সেল্ফ এক্সাইটেড তিন ভাগে বিভক্ত
i) শান্ট (shunt) জেনারেটর
ii) সিরিজ ( series) জেনারেটর
iii) কম্পাউন্ড (compound) জেনারেটর
কম্পাউন্ড (compound) জেনারেটর আবার দুইভাগে
বিভক্ত।
1. শর্ট শান্ট কম্পাউন্ড জেনারেটর
2. লং শান্ট কম্পাউন্ড জেনারেটর
No comments:
Post a Comment
Thanks for your comment.