#ইলেকট্রিক্যাল প্রশ্ন ও উওর :
০১। অটো #ট্রান্সফরমার
অটো ট্রান্সফরমার এমন এক ব্যাতিক্রমি ট্রান্সফরমার যার মধ্যে কেবল একটি ওয়াইন্ডিং থাকে। ইহার কিছু অংশ প্রাইমারি আর কিছু অংশ সেকেন্ডারি, উভয় কয়েল ইলেকট্রিক্যাল ও ম্যাগনেটিক্যালি সংযুক্ত থাকে। তারপরও একে ট্রান্সফরমার বলা হয়, কারণ ইহার কার্যপ্রণালী দুই ওয়াইন্ডিং ট্রান্সফরমার এর মতই।
০২। স্পেসিফিক রেজিস্ট্যান্স বা রেজিস্টিভিটি
নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় একক দৈর্ঘ্য ও একক প্রস্থচ্ছেদের ক্ষেত্রফল বিশিষ্ট কোন একটি পরিবাহী পদার্থের অথবা একক বাহু বিশিষ্ট কোন একটি ঘনক আকৃতির পরিবাহী পদার্থের দুটি বিপরীত তলের মধ্যবর্তী রোধ বা রেজিস্ট্যান্সকে উক্ত পরিবাহীর রেজিস্টিভিটি বা আপেক্ষিক রোধ বলে।
০৩। R.M.S মান কাকে বলে?
একটি সার্কিটে একটি নির্দিস্ট সময়ে কোন নির্দিস্ট পরিমান ডিসি (D/C) প্রবাহিত হলে যে পরিমান তাপ উৎপন্ন, সেই পরিমান তাপ উৎপন্ন করতে ঐ সার্কিটে উক্ত নির্দিস্ট সময়ে যে পরিমান এসি প্রবাহিত করা প্রয়োজন তাকে ঐ এসি (A/C) কারেন্টের RMS মান বলে। RMS value = 0.707 x Max. ভালুএ
০৪। রেজোন্যান্ট ফ্রিকুয়েন্সি
একটি AC সার্কিটে ইনডাকট্যান্স ও ক্যাপাসিট্যান্স এর মান যাই হোকনা কেন যে ফ্রিকুয়েন্সিতে ঐ সার্কিটের ইন্ডাকটিভ রিয়েকট্যান্স
(XL) এবং ক্যাপাসিটিভ রিয়েকট্যান্স (XC) সমান হয়, সেই ফ্রিকুয়েন্সিকে রেজোন্যান্ট ফ্রিকুয়েন্সি বলে । একে fr দ্বারা প্রকাশ করা হয়
০৫। রীলে কি?
রীলে এমন একটি সয়ংক্রীয় ডিভাইস, যা বৈদ্যুতিক সার্কিট এ কোন ফল্ট সংঘটিত হলে, সার্কিট এর প্রটেকটিভ ডিভাইস গুলো কে সয়ংক্রীয় ভাবে অপারেট করে এবং ফল্টযুক্ত অংশ কে ফল্টবিহীন অংশ হতে আলাদা করে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে।
০৬। ১০ টি রিলের নাম
১। প্রাইমারি রিলে ২। সেকেন্ডারি রিলে ৩। ডিরেকশনাল রিলে ৪। ডিফারেন্সিয়াল রিলে ৫। থার্মাল রিলে।
৬। ইলেক্ট্র থার্মাল রিলে ৭। রিভার্স পাওয়ার রিলে ৮। সলিনয়েড এন্ড প্লাঞ্জার রিলে ৯। ডিসট্যান্স রিলে ১০। ওভার ভোল্টেজ ও ওভার কারেন্ট রিলে
০৭। রিভার্স পাওয়ার রীলে কি?
প্যারালেল অপারেশনে কোন অল্টারনেটরের ইনপুট কোন কারনে বন্ধ হলে বা অন্য কোন ত্রুটিতে ঐ অলটারনেটর যদি বাসবার হতে পাওয়ার
নেয় অর্থাৎ উল্টাদিক হতে পাওয়ার নিয়ে অল্টারনেটরটি মোটর হিসাবে কাজ করে তখন যে রিলের মাধ্যমে প্রটেকশন দেয়া হয় তার নাম রিভার্স পাওয়ার রীলে। এ রকম অবস্থায় রিভার্স পাওয়ার রীলে এনারজাইজড হয় এবং ঐ অল্টারনেটরের সার্কিট ব্রেকার ট্রিপ করে সিস্টেমকে রক্ষা করে।
০৮। থার্মাল রীলে কি?
যে রীলে কারেন্ট বৃদ্ধির ফলে তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে সাড়া দেয়, তাকে থার্মাল রীলে বলে। এটা সাধারণত মোটর কন্ট্রোল সার্কিট, ব্যালান্স এবং আন-ব্যালান্স থ্রি-ফেজ সার্কিটে ব্যবহার করা হয়।
০৯। ডিফারেনশিয়াল রীলে কি?
ডিফারেনশিয়াল রীলে এমন এক ধরনের ডিভাইস, যা দুই বা ততোধিক ইলেকট্রিক্যাল মান বা দিকের ভেক্টর পার্থক্য, যখন একটি আগে থেকেই
নির্ধারিত মানের চেয়ে বেশি বা কম হয় তখন এই রীলে কাজ করে সিস্টেমকে বা ইলেকট্রিক্যাল যন্ত্রকে রক্ষা করে।
১০। HRC ফিউজ কি?
HRC= High Rupturing Capacity । উচ্চ কারেন্ট প্রবাহিত হয় এরকম লাইনে যে ফিউজ ব্যবহার হয় সেগুলো HRC ফিউজ। এতে চিনা মাটির তৈরি কেসিং এর মধ্যে ফিউজ তার সংযুক্ত থাকে। ফিউজ তারের চারদিকে বালু বা চক পাউডার এবং কেসিং এর দু-মাথায় দুটি পিতলের ঢাকনা থাকে। ফিউজ তার উভয় ঢাকনার সাথে সংযুক্ত থাকে।
১১। বুখলজ রীলে কি?
ট্রান্সফরমারের বিভিন্ন ত্রুটির প্রটেকশন ও সতর্কীকরণ ব্যবস্থার জন্য ট্রান্সফরমার ট্যাংক ও কনজারভেটর এর মাঝে পাইপে যে রীলে বসানো থাকে সেটাই বুখলজ রীলে। ত্রুটিজনিত অতিরিক্ত কারেন্ট হতে সৃষ্ট উত্তাপে ট্রান্সফরমার ট্যাংকে যে গ্যাসের সৃষ্টি হয়, তার চাপেই এই রীলে কাজ করে থাকে। অর্থাৎ শুধুমাত্র অয়েল কুলিং ট্রান্সফরমারে এই রীলে ব্যবহৃত হয়।
১২। আর্থিং সুইস কি?
ট্রান্সমিশন লাইন রক্ষণাবেক্ষণের সময় লাইনে বিদ্যমান চার্জিং কারেন্টকে মাটিতে পাঠানোর জন্য যে সুইস ব্যবহৃত হয় সেটি আর্থিং সুইস (ES) নামে পরিচিত। আগে আইসোলেটর দিয়ে সার্কিট ডিসকানেক্ট করে আর্থ সুইস দ্বারা লাইনকে আর্থের সাথে সংযোগ করা হয়।
১৩। ওয়েভ ট্রাপ কি?
সাব-স্টেশনে ব্যবহৃত ক্যারিয়ার সরঞ্জামাদির মধ্যে ওয়েভ ট্রাপ অন্যতম একটি ডিভাইস, যার মাধ্যমে ট্রান্সমিশন লাইনের ওয়েভকে ফিল্টার করা হয়। পাওয়ার লাইনের মাধ্যমেই কমুনিকেশন ফ্রিকুয়েন্সিও পাঠানো হয়, পরবর্তীতে এই ওয়েভ ট্রাপ দিয়ে কমুনিকেশন ফ্রিকুয়েন্সিকে আলাদা করে শব্দ শক্তিতে রুপান্তর করে টেলিফোন বা যোগাযোগ ব্যবস্থা সম্পন্ন করা হয়।
১৪। সার্জ ভোল্টেজ কি?
পাওয়ার সিস্টেমে হঠাৎ করে খুব অল্প সময়ের জন্য অস্বাভাবিক ভোল্টেজ বৃদ্ধিকে সার্জ ভোল্টেজ বলে। একে ট্রানজিয়েন্ট ভোল্টেজও বলে।
১৫। কারেন্ট লিমিটিং রিয়াক্টর
কারেন্ট লিমিটিং রিয়াক্টর বা বিদ্যুৎ সীমিত করন রিয়াক্টর যথেষ্ট ইন্ডাক্টিভ রিয়াক্ট্যান্স বিশিষ্ট এক ধরনের ইন্ডাকটিভ কয়েল। শর্ট সার্কিট অবস্থায় কারেন্টের পরিমাণকে সীমিত রেখে ফল্ট কারেন্টের বিপদমাত্রা নিরাপদ সীমায় নিয়ে আসার জন্য এই রিয়াক্টর লাইনের সাথে সিরিজে সংযোগ করা হয়।
১৬। লোড শেডিং
যখন চাহিদার তুলনায় উৎপাদিত বিদ্যুৎ এর পরিমান কম হয়, তখন কোন কোন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রেখে অন্যান্য এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু রাখা হয়, যাতে ওভার লোডে পুরো সিস্টেম বন্ধ হয়ে না যায়। এ ব্যবস্থাকে লোড শেডিং বলে।
১৭। লোড শেয়ারিং
একটি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের উপর অর্পিত সকল লোড বিভিন্ন প্লান্টের সকল জেনারেটরের মধ্যে যুক্তিযুক্ত ভাবে বন্টন করাকে লোড শেয়ারিং বলে।
১৮। ওভার হেড লাইনের উপাদান কি কি?
ওভার হেড লাইনের উপাদান প্রধানত ১২( বার) টি , যথাঃ
(১) সাপোর্ট (২) ক্রস-আরম ও ক্লাম্প (৩) ইনসুলেটর (৪) কন্ডাকটর (৫) গাই ও স্টে (৬) লাইটনিং এরেস্টর (৭) ফিউজ ও আইসুলেটিং সুইস (৮) অবিচ্ছিন্ন আর্থ তার (৯) গার্ড ওয়ার (১০) পাখি রক্ষক (১১) জাম্পার (১২) ভাইব্রেশন ড্যাম্পার
১৯। কোন ধরনের পোলে টানা ব্যাবহার করা হয়?
টার্মিনাল পোলে এবং এঙ্গেল পোলের দুদিকে টানের সমতা রক্ষার জন্য টানা বা stays ব্যাবহার করা হয়।
“H” টাইপ পোল কোথায় ব্যাবহার করা হয়?
দীর্ঘ স্পান বিশিষ্ট (১৬০ মিটার পর্যন্ত) ১৩২ কেভি ট্রান্সমিশন লাইনে “H” টাইপ পোল ব্যাবহার করা হয়। লাইনের যে স্থানে সুইস গিয়ার বা ট্রান্সফরমার ব্যাবহার করার দরকার পড়ে সেখানে “H” টাইপ পোল ব্যবহার করা হয়।
৫৭।ট্রান্সমিশন লাইন আর্থ করা হয় কেন?
বজ্রপাতের ফলে অথবা অন্য কোন অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে ইনসুলেশন ব্রেকডাউন হতে পারে। এই সম্ভাব্য দুর্ঘটনা থেকে লাইনকে রক্ষা করার জন্য ওভার হেড লাইনের শীর্ষে একটি অবিচ্চিন্ন আর্থ তার ব্যবহার করা হয়, যার মাধ্যমে অতিরিক্ত ভোল্টেজ মাটিতে ডিসচার্জ হতে পারে।
২০। ক্রেডল গার্ড কোথায় এবং কেন ব্যবকার করা হয়?
ওভার হেড লাইনের তার – যেখানে রাস্তা , রেল লাইন কিম্বা বাড়ীর উপর দিয়ে টানা হয়, সেখানে নিরাপত্তার জন্য কেবলমাত্র এটি ব্যবহার করা হয়। তার ছিঁড়ে যাওয়ার পর তা যেন মাটিতে পরার সুযোগ না পায়, সে জন্য এ সব যায়গায় এই ক্রেডল গার্ড ব্যবহার করা হয়।
২১। ওভার হেড লাইনের জন্য সাধারণত কি কি কন্ডাকটর ব্যবহার করা হয়?
(১) স্টিল কোরড অ্যালুমিনিয়াম (২) কপার (৩) অ্যালুমিনিয়াম ও (৪) গ্যালভানাইজড স্টিল কন্ডাকটর
এছাড়া কতোগুলি বিশেষ ক্ষেত্রে ফসফার ব্রোঞ্জ, কপার ক্ল্যাড, ক্যাডমিয়াম কপার ইত্যাদি তার ব্যবহার করা হয়।
২২। সার্কিট ডায়াগ্রাম কি?
উত্তরঃ সার্কিট ডায়াগ্রাম হল সার্কিটের বিভিন্ন উপকরনের চিহ্ন সম্বলিত এমন একটি চিত্র রূপ যা দেখে এর উপকরণগুলো কিভাবে পরস্পর যুক্ত রয়েছে তা বুঝা যায় এবং এদের মান সংক্ষেপে ডায়াগ্রামে উল্ল্যেখ থাকে।
২৩। সিরিজ সার্কিট -এর বৈশিষ্ট্যগুলো কি কি?
উত্তরঃ দুই বা ততোধিক রেজিস্টর বা লোড একের পর এক যদি এমন ভাবে যুক্ত করা হয় যাতে কারেন্ট প্রবাহের একটি মাত্র পথ থাকে, তবে তাকে সিরিজ সার্কিট বলে।
সিরিজ সার্কিট -এর বৈশিষ্ট্যঃ
(i) সিরিজ সার্কিটে যুক্ত সব লোড বা রেজিস্টর’এর মধ্য দিয়ে একই পরিমান কারেন্ট প্রবাহিত হয়। অর্থাৎ I= I1+I2+I3+——–+In
(ii) সিরিজ সার্কিটে যুক্ত প্রতিটি রেজিস্টার বা লোডের ভোল্টেজ ড্রপসমূহের যোগফল সার্কিটে প্রয়োগকৃত ভোল্টেজের সমান। অর্থৎ V=V1+V2+V3+———+Vn
(iii) সিরিজ সার্কিটে যুক্ত রেজিস্টার বা লোড সমূহের রেজিস্ট্যান্সগুলোর যোগফল মোট রেজিস্ট্যান্স (সার্কিটের) সমান। অর্থাৎ R=R1+R2+R3+——–+Rn
২৪। প্যারালাল সার্কিট কি? প্যারালাল সার্কিট-এর বৈশিষ্ট্যগুলো কি কি?
উত্তরঃ একাধিক রেজিস্টর বা লোড প্রতিটিকে বৈদ্যুতিক উৎসের আড়াআড়িতে এমনভাবে সংযুক্ত করা হয় যাতে কারেন্ট প্রবাহের একাধিক পথ বিদ্যমান থাকে তবে তাকে প্যারালাল সার্কিট বলে।
প্যারালাল সার্কিট-এর বৈশিষ্ট্যঃ
(i) প্যারালাল সার্কিটে যুক্ত প্রতিটি লোড বা রেজিস্টর এর আড়াআড়িতে ভোল্টেজ ড্রপ সার্কিটে প্রয়োগকৃত ভোল্টেজ এর সমান। অর্থাৎ 1/R=1/R1+1/R2+1/R3+——–+1/Rn
(ii) প্যারালাল সার্কিটে সংযুক্ত প্রতিটি রেজিস্টর এর মান উল্টিয়ে যোগ করলে যোগফল সমতুল্য (সার্কিটের) রেজিস্ট্যান্সের উল্টানোমানের সমান।
২৫। সাইকেল কাহাকে বলে?
উত্তরঃ একটি পরিবাহী একটি উত্তর মেরু এবং একটি দক্ষিন মেরুর মাঝখানে বৃত্তাকারে একটি পথ যদি একবার পরেক্রমন করে তবে একটি ভোল্টেজ তরঙ্গের সৃষ্টি হয় । এই তরঙ্গটিকে সাইকেল বলে।
২৬। অল্টারনেশন কাহাকে বলে?
উত্তরঃ ভোল্টেজ তরঙ্গের অর্ধাংশকে অল্টারনেশন বলে।
২৭। ফ্রিকুয়েন্সী (Frequency) কাহাকে বলে?
উত্তরঃ এক সেকেন্ড সময়ে যতগুলো সাইকেল সম্পন্ন হয় তাকে ফ্রিকুয়েন্সী বলে।
এর প্রতীক f এবং একক সাইকেল/সেকেন্ড (C/S)
২৮। ট্রান্সফরমারের কর্মদক্ষতা বেশি হয়ে থাকে কেন?
উত্তরঃ ট্রান্সফরমার একটি স্ট্যাটিক ডিভাইস অর্থাৎ স্থির যন্ত্র। এতে কোন ঘূর্ণায়মান অংশ নেই, ফলে ঘর্ষণজনিত কোন ক্ষয় বা লস এতে নেই। অন্যান্য ঘূর্ণায়মান যন্ত্রের তুলনায় ট্রান্সফরমারে লস অনেক কম। তাই ট্রান্সফরমারের কর্মদক্ষতা সবচাইতে বেশি। ট্রান্সফরমারের কর্মদক্ষতা ৯৫%-৯৮% পর্যন্ত হয়ে থাকে।
২৮। ট্রান্সফরমারের রেটিং kW এ না লিখে kVA লেখা হয়ে থাকে কেন?
উত্তরঃ ট্রান্সফরমারের মোট লস= কোর লস + কপার লস। কোর লস নির্ভর করে ভোল্টেজ এর উপর এবং কপার লস নির্ভর করে কারেন্টের উপর, কিন্তু ট্রান্সফরমারের মোট লস কারেন্ট ও ভোল্টেজের মধ্যবর্তী ফেজ কোণের উপর নির্ভর করেনা। kW এর সাথে পাওয়ার ফ্যাক্টর বা কারেন্ট ও ভোল্টেজের মধ্যবর্তী ফেজ এঙ্গেল জড়িত কিন্ত kVA এর সাথে পাওয়ার ফ্যাক্টর থাকেনা। এজন্য ট্রান্সফরমারের রেটিং kW এ না লিখে kVA লেখা হয়ে থাকে।
৩০। ট্রান্সফরমার ব্যাংকিং কাকে বলে?
ট্রান্সফরমার ব্যাংকিং করার শর্ত কি কি?
উত্তরঃ অনেক সময় ৩ ফেজ ট্রান্সফরমার ব্যবহার না করে তিনটি ১ ফেজ ট্রান্সফরমার এর সাহায্যে ৩ ফেজ সাপ্লাই দেয়া হয়, এই ব্যবস্থাকে ট্রান্সফরমার ব্যাংকিং বলে।
ট্রান্সফরমার ব্যাংকিং করার শর্তঃ
১) প্রতিটি ট্রান্সফরমার এর kVA রেটিং একই হতে হবে।
২) প্রতিটি ট্রান্সফরমার এর ভোল্টেজ রেটিং একই হতে হবে।
৩) সঠিক পোলারিটি অনুযায়ী সংযোগ দিতে হবে।
৩১। অটো ট্রান্সফরমার সম্পর্কে লেখ। এর ব্যবহার লিখ।
উত্তরঃ অটো ট্রান্সফরমার এমন এক ব্যাতিক্রমি ট্রান্সফরমার যার মধ্যে কেবল একটি ওয়াইন্ডিং থাকে। ইহার কিছু অংশ প্রাইমারি আর কিছু অংশ সেকেন্ডারি, উভয় কয়েল ইলেকট্রিক্যাল ও ম্যাগনেটিক্যালি সংযুক্ত থাকে। তারপরও একে ট্রান্সফরমার বলা হয়, কারণ ইহার কার্যপ্রণালী দুই ওয়াইন্ডিং ট্রান্সফরমার এর মতই।
এর ব্যবহারঃ
১) ডিস্ট্রিবিউশন লাইনে ভোল্টেজ ঘাটতি পুরনে ইহা ব্যবহার করা হয়।
২) ৩-ফেজ ইন্ডাকশন মোটর চালু করার কাজে ব্যবহার হয়।
৩) রাজপথ আলোকিত করার কাজে ইহা ব্যবহার হয়।
৪) রেডিও ইলেক্ত্রনিক্সে ইহা ব্যবহার করা হয়।
৩২। সাবস্টেশন কি?
উওরঃ সাবস্টেশন হচ্ছে পাওয়ার সিস্টেমের একটি অংশ যা বিদ্যুৎ উৎপাদন, পরিবহণ, সঞ্চালন, বিতরণ ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা ।
৩৩। ১১কেভি সাবস্টেশনের কি কি ইকুপমেন্ট থাকে?
Ø ট্রান্সফরমার
Ø LT সুইচগিয়ার
Ø HT সুইচগিয়ার
Ø PFI প্লান্ট
৩৪। সুইচগিয়ার কি?
উওরঃ সুইচগিয়ার হচ্ছে বিভিন্ন যন্ত্রপাতি,যা বৈদ্যুতিক ব্যবস্থাকে সুইচিং,কন্ট্রোলিং এবং রক্ষা করে থাকে।( রিলে,সার্কিট ব্রেকার,ম্যাগনেটিক কন্টাক্টর ইত্যাদি)
প্রশ্নঃ সুইচগিয়ার কত প্রকার?
Ø LT সুইচগিয়ার
Ø HT সুইচগিয়ার
৩৫। LT & HT সুইচগিয়ার বলতে কি বুঝ?
উওরঃ LT সুইচগিয়ারঃ
সাবস্টেশনের লো-সাইডের বৈদ্যুতিক ব্যবস্থাকে সুইচিং,কন্ট্রোলিং এবং রক্ষা করার প্রক্রিয়াকে LT সুইচগিয়ার বলে।
উওরঃ HT সুইচগিয়ারঃ
সাবস্টেশনের হাই-সাইডের বৈদ্যুতিক ব্যবস্থাকে সুইচিং,কন্ট্রোলিং এবং রক্ষা করার প্রক্রিয়াকে HT সুইচগিয়ার বলে।
৩৬। কি ধরনের সার্কিট ব্রেকার LT & HT ব্যবহার করা হয়?
উওরঃLT সুইচগিয়ারঃ
MCB, MCCB, ACB সার্কিট ব্রেকার
HT সুইচগিয়ারঃ
VCB সার্কিট ব্রেকার
৩৭। সার্কিট ব্রেকার কি?
উওরঃ সার্কিট ব্রেকার হচ্ছে এক ধরনের সুইচিং ডিভাইস, যা দ্বারা বৈদ্যুতিক সার্কিটকে সাপ্লাই এর সাথে সংযুক্ত ও বিচ্ছিন্ন করা যায়। তবে সার্কিট ব্রেকারের সবচেয়ে বড় কাজ হল,যখন অতিরিক্ত কারেন্ট বা ত্রুটিপুর্ন কারেন্ট লাইনে প্রবাহিত হয়,তা থেকে সার্কিটকে অটোমেটিক রক্ষা করা।
৩৮। কি ধরনের সার্কিট ব্রেকার সাবস্টেশনে ব্যবহার করা হয়?
উওরঃ MCB, MCCB, ACB সার্কিট ব্রেকার, VCB সার্কিট ব্রেকার।
৩৯। LT & HT সাইডের মেইন কাজ কি?
উওরঃ
HT সুইচগিয়ার মূলত ট্রান্সফরমার কে সাট-ডাউন করানো
LT সুইচগিয়ার মূলত লোড কে কন্ট্রোল করে অথবা রক্ষা করে।
৪০। PFI কি?
পাওয়ার ফ্যাক্টর ইম্প্রোভমেন্ট যা পাওয়ার ফ্যাক্টর ইম্প্রোভমেন্ট করে।
৪১। কেন PFI ব্যবহার করা হয়?
উওরঃ কারন আমাদের ট্রান্সমিশন লাইনে ভোল্টেজ এবং কারেন্ট এর কারনে একটি এঙ্গেল সৃস্টি হয় যা লস হিসাবে ধরা হয়।এই লস কে কমানোর জন্য পাওয়ার ফ্যাক্টর ইম্প্রোভমেন্ট ব্যবহার করা হয়।
৪২। PFI রেটিং কিভাবে নিতে হয়?
উওরঃ ট্রান্সফরমারের রেটিং এর ৬০% হিসাবে নিতে হয়।
৪৩। PFI স্টেপ কি এবং কিভাবে স্টপ সিলেকশন করতে হয়?
উওরঃ ট্রান্সফরমারের রেটিং যদি ১০০কেভি থেকে ২৫০কেভি পর্যন্ত তাহলে ৬ স্টেপের ১টা
ট্রান্সফরমারের রেটিং যদি ৩১৫কেভি থেকে ২০০০কেভি পর্যন্ত তাহলে ১২ স্টেপের ১টা
ট্রান্সফরমারের রেটিং যদি ২৫০০কেভি থেকে ৪০০০কেভি পর্যন্ত তাহলে ১২ স্টেপের ২টা
৪৪। সাবস্টেশনে কিভাবে লোড বের করতে হয়?
উওরঃ ট্রান্সফরমারের রেটিং এর ৮০% হিসাবে নিতে হয়।
৪৫। সাবস্টেশনে LT & HT সাইড কোন অংশ কে বলে?
উওরঃ ৩৩কেভি থেকে ১১কেভি পর্যন্ত ট্রান্সমিশন লাইন কে বলা হয় HT সাইড এবং ১১ কেভি থেকে ০.৪কেভি (৪০০ভোল্ট) পর্যন্ত ট্রান্সমিশন লাইন কে বলা হয় LT সাইড।
৪৬। জেনারেশন পাওয়ার এবং ডিস্ট্রিবিউশন পাওয়ারের রেটিং দেখাও?
উওরঃ জেনারেশন পাওয়ারঃ ১১কেভি,৩৩কেভি,১
৩২কেভি,২৩০কেভি,৪০০কেভি
ডিস্ট্রিবিউশন পাওয়ারঃ ৪০০কেভি,২৩০কেভি
,১৩২কেভি,৩৩কেভি,১১কেভি।
৪৭। কেন ডিস্ট্রিবিউশন লাইনে ৪০০০কেভির বেশি ট্রান্সফরমার ব্যবহার করা হয় না?
উওরঃ কারন ৪০০০কেভি উপরের ট্রান্সফরমারের জন্য সার্কিট ব্রেকার নেই তাই ব্যবহার করা হয় না।
01. ফ্যারান্টি ইফেক্ট কি?
মিডিয়াম বা লং ট্রান্সমিশন লাইনে ওপেন সার্কিট বা লোড শুন্য অবস্থায় কিংবা অল্প লোডে চলার সময় প্রেরন প্রান্ত অপেক্ষা গ্রহন প্রান্তের ভোল্টেজের মান বেশি হতে দেখা দেয়। এই ঘটনা বা phenomenon কে ফেরান্টি ইফেক্ট বলে।
02. অটো ট্রান্সফরমার কী?
অটো ট্রান্সফরমার এমন এক ব্যাতিক্রমি ট্রান্সফরমার যার মধ্যে কেবল একটি ওয়াইন্ডিং থাকে। ইহার কিছু অংশ প্রাইমারি আর কিছু অংশ সেকেন্ডারি, উভয় কয়েল ইলেকট্রিক্যাল ও ম্যাগনেটিক্যালি সংযুক্ত থাকে। তারপরও একে ট্রান্সফরমার বলা হয়, কারণ ইহার কার্যপ্রণালী দুই ওয়াইন্ডিং ট্রান্সফরমার এর মতই।
02. স্পেসিফিক রেজিস্ট্যান্স বা রেজিস্টিভিটি কি?
নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় একক দৈর্ঘ্য ও একক প্রস্থচ্ছেদের ক্ষেত্রফল বিশিষ্ট কোন একটি পরিবাহী পদার্থের অথবা একক বাহু বিশিষ্ট কোন একটি ঘনক আকৃতির পরিবাহী পদার্থের দুটি বিপরীত তলের মধ্যবর্তী রোধ বা রেজিস্ট্যান্সকে উক্ত পরিবাহীর রেজিস্টিভিটি বা আপেক্ষিক রোধ বলে।
04. R.M.S মান কি?
একটি সার্কিটে একটি নির্দিস্ট সময়ে কোন নির্দিস্ট পরিমান ডিসি (D/C) প্রবাহিত হলে যে পরিমান তাপ উৎপন্ন, সেই পরিমান তাপ উৎপন্ন করতে ঐ সার্কিটে উক্ত নির্দিস্ট সময়ে যে পরিমান এসি প্রবাহিত করা প্রয়োজন তাকে ঐ এসি (A/C) কারেন্টের RMS মান বলে। RMS value = 0.707 x Max. Value
05. রেজোন্যান্ট ফ্রিকুয়েন্সি কু?
একটি AC সার্কিটে ইনডাকট্যান্স ও ক্যাপাসিট্যান্স এর মান যাই হোকনা কেন যে ফ্রিকুয়েন্সিতে ঐ সার্কিটের ইন্ডাকটিভ রিয়েকট্যান্স (XL) এবং ক্যাপাসিটিভ রিয়েকট্যান্স (XC) সমান হয়, সেই ফ্রিকুয়েন্সিকে রেজোন্যান্ট ফ্রিকুয়েন্সি বলে । একে fr দ্বারা প্রকাশ করা হয়।
06. রীলে কি?
রীলে এমন একটি সয়ংক্রীয় ডিভাইস, যা বৈদ্যুতিক সার্কিট এ কোন ফল্ট সংঘটিত হলে, সার্কিট এর প্রটেকটিভ ডিভাইস গুলো কে সয়ংক্রীয় ভাবে অপারেট করে এবং ফল্টযুক্ত অংশ কে ফল্টবিহীন অংশ হতে আলাদা করে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে।
07. ১০টি রিলের নাম লেখ
১। প্রাইমারি রিলে
২। সেকেন্ডারি রিলে
৩। ডিরেকশনাল রিলে
৪। ডিফারেন্সিয়াল রিলে
৫। থার্মাল রিলে।
৬। ইলেক্ট্র থার্মাল রিলে
৭। রিভার্স পাওয়ার রিলে
৮। সলিনয়েড এন্ড প্লাঞ্জার রিলে
৯। ডিসট্যান্স রিলে
১০। ওভার ভোল্টেজ ও ওভার কারেন্ট রিলে
২। সেকেন্ডারি রিলে
৩। ডিরেকশনাল রিলে
৪। ডিফারেন্সিয়াল রিলে
৫। থার্মাল রিলে।
৬। ইলেক্ট্র থার্মাল রিলে
৭। রিভার্স পাওয়ার রিলে
৮। সলিনয়েড এন্ড প্লাঞ্জার রিলে
৯। ডিসট্যান্স রিলে
১০। ওভার ভোল্টেজ ও ওভার কারেন্ট রিলে
07. রিভার্স পাওয়ার রীলে কি?
***প্যারালেল অপারেশনে কোন অল্টারনেটরের ইনপুট কোন কারনে বন্ধ হলে বা অন্য কোন ত্রুটিতে ঐ অলটারনেটর যদি বাসবার হতে পাওয়ার নেয় অর্থাৎ উল্টাদিক হতে পাওয়ার নিয়ে অল্টারনেটরটি মোটর হিসাবে কাজ করে তখন যে রিলের মাধ্যমে প্রটেকশন দেয়া হয় তার নাম রিভার্স পাওয়ার রীলে। এ রকম অবস্থায় রিভার্স পাওয়ার রীলে এনারজাইজড হয় এবং ঐ অল্টারনেটরের সার্কিট ব্রেকার ট্রিপ করে সিস্টেমকে রক্ষা করে।08. থার্মাল রীলে কি?
যে রীলে কারেন্ট বৃদ্ধির ফলে তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে সাড়া দেয়, তাকে থার্মাল রীলে বলে। এটা সাধারণত মোটর কন্ট্রোল সার্কিট, ব্যালান্স এবং আন-ব্যালান্স থ্রি-ফেজ সার্কিটে ব্যবহার করা হয়।
যে রীলে কারেন্ট বৃদ্ধির ফলে তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে সাড়া দেয়, তাকে থার্মাল রীলে বলে। এটা সাধারণত মোটর কন্ট্রোল সার্কিট, ব্যালান্স এবং আন-ব্যালান্স থ্রি-ফেজ সার্কিটে ব্যবহার করা হয়।
10. ডিফারেনশিয়াল রীলে কি?
ডিফারেনশিয়াল রীলে এমন এক ধরনের ডিভাইস, যা দুই বা ততোধিক ইলেকট্রিক্যাল মান বা দিকের ভেক্টর পার্থক্য, যখন একটি আগে থেকেই নির্ধারিত মানের চেয়ে বেশি বা কম হয় তখন এই রীলে কাজ করে সিস্টেমকে বা ইলেকট্রিক্যাল যন্ত্রকে রক্ষা করে।
☺☺☺☺☺☺☺☺☺☺
11. অ্যামিটার কে কিভাবে ভোল্টমিটারে রুপান্তর করবো?
উতরঃ অ্যামিটার শান্টকে খুলে ফেলে এর সঙ্গে উচু মানের রেজিস্টর সিরিজে সংযোগ করলেই হয়ে যাবে।
12. সুপার গ্রিড ভোল্টেজ কত?
উত্তরঃ ২৩০কেভি।
13. তার ও ক্যাবলের মধ্যে পার্থক্য কি?
উত্তরঃ একটি বা অনেক গুলো কন্ডাক্টর কোর কে ইনসুলেটরে আবদ্ধ করলে তার তৈরি হয়।।
আবার দুটি বা তার বেশি তার কে একটি ইনসুলেটরে আবদ্ধ করলে ক্যাবল তৈরি হয়।
14. B type MCB কোথায় ব্যবহার করা হয়?
উত্তরঃ ফুল লোড কারেন্টের ৩ - ৫ গুন কারেন্টে ট্রিপিং করে বলে এটি বাসা বাড়িতে ব্যবহার করা হয়।
15. কাঠের পোল কে ট্রিটমেন্ট করা হয় কেন এবং কিভাবে ?
উত্তরঃ পোকার আক্রমন ও পচন রোধে একে আলকাতরা মিশ্রিত ক্রিয়োজোট তেল বা কপার ক্রোম আর্সেনিক ব্যবহার করা হয়।
16. সিনক্রোনাস মোটরের স্লিপ শূন্য কেন?
উত্তরঃ স্লিপ=( Ns - Nr)/ Ns যেহেতু সিনক্রোনাস মোটরের Ns = Nr। সুতরাং স্লিপ= ০।
17. সিনক্রোনাস মোটর বন্ধ হওয়ার একটি কারন কি?
উত্তরঃ লোড টর্ক অতিরিক্ত বৃদ্ধি পেলে স্টেটর ও রোটর পোলের পারস্পারিক ম্যাগনেটিক কাপল পুরোপুরি বিলুপ্ত হয় ফলে মোটর টি থেমে যায়।
18. ইন্ডাক্টরের সাবট্রাকটিভ সিরিজ কেন করা হয়।
উত্তরঃ দুটি কয়েলের বিপরীতমুখি ফ্লাক্সের রেজালটেন্ট ফ্লাক্স নেওয়ার জন্য সাবট্রাকটিভ সিরিজ করা হয়।
19. অফ পিক আওয়ার বলতে কি বোঝ?
উত্তরঃ সাধারনত রাত ১১ টার পর থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত সময় কে অফ পিক আওয়ার বলে।
21. বাংলাদেশের পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্র কয়টি?
22. কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন ক্ষমতা কত?
23. সবচেয়ে বড় তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র কোনটি?
24. বাংলাদেশের একমাএ পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির নাম কি?
25. কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি কোথায় অবস্থিত?
26. বাংলাদেশের আণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের নাম কি?
27. রূপপুর কোথায় অবস্থিত?
28. বাংলাদেশের কোন জেলায় প্রথম সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প চালু হয়?
☺☺☺☺☺☺☺☺☺☺
11. অ্যামিটার কে কিভাবে ভোল্টমিটারে রুপান্তর করবো?
উতরঃ অ্যামিটার শান্টকে খুলে ফেলে এর সঙ্গে উচু মানের রেজিস্টর সিরিজে সংযোগ করলেই হয়ে যাবে।
12. সুপার গ্রিড ভোল্টেজ কত?
উত্তরঃ ২৩০কেভি।
13. তার ও ক্যাবলের মধ্যে পার্থক্য কি?
উত্তরঃ একটি বা অনেক গুলো কন্ডাক্টর কোর কে ইনসুলেটরে আবদ্ধ করলে তার তৈরি হয়।।
আবার দুটি বা তার বেশি তার কে একটি ইনসুলেটরে আবদ্ধ করলে ক্যাবল তৈরি হয়।
14. B type MCB কোথায় ব্যবহার করা হয়?
উত্তরঃ ফুল লোড কারেন্টের ৩ - ৫ গুন কারেন্টে ট্রিপিং করে বলে এটি বাসা বাড়িতে ব্যবহার করা হয়।
15. কাঠের পোল কে ট্রিটমেন্ট করা হয় কেন এবং কিভাবে ?
উত্তরঃ পোকার আক্রমন ও পচন রোধে একে আলকাতরা মিশ্রিত ক্রিয়োজোট তেল বা কপার ক্রোম আর্সেনিক ব্যবহার করা হয়।
16. সিনক্রোনাস মোটরের স্লিপ শূন্য কেন?
উত্তরঃ স্লিপ=( Ns - Nr)/ Ns যেহেতু সিনক্রোনাস মোটরের Ns = Nr। সুতরাং স্লিপ= ০।
17. সিনক্রোনাস মোটর বন্ধ হওয়ার একটি কারন কি?
উত্তরঃ লোড টর্ক অতিরিক্ত বৃদ্ধি পেলে স্টেটর ও রোটর পোলের পারস্পারিক ম্যাগনেটিক কাপল পুরোপুরি বিলুপ্ত হয় ফলে মোটর টি থেমে যায়।
18. ইন্ডাক্টরের সাবট্রাকটিভ সিরিজ কেন করা হয়।
উত্তরঃ দুটি কয়েলের বিপরীতমুখি ফ্লাক্সের রেজালটেন্ট ফ্লাক্স নেওয়ার জন্য সাবট্রাকটিভ সিরিজ করা হয়।
19. অফ পিক আওয়ার বলতে কি বোঝ?
উত্তরঃ সাধারনত রাত ১১ টার পর থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত সময় কে অফ পিক আওয়ার বলে।
20. বাংলাদেশের তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র কয়টি?
★১০টি।
21. বাংলাদেশের পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্র কয়টি?
★১টি
22. কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন ক্ষমতা কত?
★২৩০ মেগাওয়াট।
23. সবচেয়ে বড় তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র কোনটি?
★ভেড়ামারা (কুষ্টিয়া)
24. বাংলাদেশের একমাএ পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রটির নাম কি?
★ কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র।
25. কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রটি কোথায় অবস্থিত?
★রাঙামাটি।
26. বাংলাদেশের আণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের নাম কি?
★রূপপুর আণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র (১৯৬১)।
27. রূপপুর কোথায় অবস্থিত?
★পাবনা জেলায়।
28. বাংলাদেশের কোন জেলায় প্রথম সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প চালু হয়?
★নরসিংদী।
No comments:
Post a Comment
Thanks for your comment.