এটা এমন একটি কম্পোনেন্ট যেটা কারেন্ট প্রবাহকে বাধা দেয়। কোন বর্তনীতে কারেন্ট এর প্রবাহ কমানোর জন্য কিংবা বাধা দেয়ার জন্য এটি ব্যবহার করা হয়। সহজ উদাহরণ হিসেবে আমরা বাসা বাড়িতে ফ্যানের রেগুলেটরের কথা বলতে পারি। সংক্ষেপে ও সহজ ভাবে বললে এটি একটি ভ্যারিয়েবল রেজিস্টর এর ন্যায় যেটার মান পরিবর্তনের মাধ্যমে কারেন্ট প্রবাহকে নিয়ন্ত্রণ করে ফ্যানের স্পিড কন্ট্রোল করা হয়।
রেসিস্টরের বিভিন্ন রেটিং সমূহ
রেসিস্টরের একক হল ওহম। তবে ব্যবহারিক কাজে আমরা কিলো ওহম এককের রেসিস্টর বেশি ব্যবহার করি। রেসিস্টরের গায়ে কালার কোডের মাধ্যমে এর ভ্যেলু জানা যায়।
রেসিস্টরের আরেকটি রেটিংস থাকে সেটা হল ওয়াট বা ক্ষমতা। ওয়াট ভ্যালু দিয়ে বোঝা যায় সেটা কতটুকু কারেন্ট বা লোড নিতে সক্ষম। তার বেশি হলে এটি পুড়ে যেতে পারে।
কোন ইলেকট্রনিক্স সার্কিটে ওয়াট বলে দেয়া না থাকলে কিংবা আপনি ইলেকট্রনিক পার্টসের দোকানে গিয়ে রেসিস্টর কেনার সময় ওয়াট বলে না দিলে তারা আপনাকে কোয়ার্টার ওয়াট (1/4 watt) ধরেই রেসিস্টর দেবে। সুতরাং কোয়ার্টার ওয়াট হলে সাধারনত সার্কিটে রেসিস্টরের ওয়াট উল্লেখ করা হয় না।
তবে হাফ ওয়াট কিংবা এর উপরের কোন ভ্যেলু হলে ওয়াটের কথা উল্লেখ করতে হবে কিংবা উল্লেখ করা থাকে।সাধারনত ওয়াট চিনতে হয় রেসিস্টরের সাইজ দেখে। অনেক সময় বড় রেসিস্টরের গায়েও ওয়াট লেখা থাকে।
আরেকটি বিশেষ কথা – রেজিস্টারের কোন পোলারিটি নেই। মানে এর কোন প্রান্ত পজেটিভ আর কোন প্রান্ত নেগেটিভ তা নিয়ে আপনাকে টেনশন করতে হবেনা।
রেসিস্টর কালার কোড চার্ট
এবার দেখে নিই কিভাবে কালার কোড থেকে রেসিস্টরের ওহম নির্ধারন করা যায়। নিচের কালার কোড চার্ট টি ফলো করলে সহজেই আপনি যে কোন রেজিস্টার এর ওহম নির্ণয় করতে পারবেন-
কালার কোড চার্ট
কালার কোড চার্ট
কালার কোড সহজে মনে রাখার সূত্র
কাবালা কহসনী বেধূসা
হিসাব পদ্ধতি
FS × 10T +/- Tolarance (ohm)
F= first band, S= second band, T= third band.
এখানে লক্ষ্যনীয়
অনেক সময় থার্ড ব্যান্ড টা ফোর্থ ব্যান্ডের সাথে সোনালী হয়। এ ক্ষেত্রে থার্ড ব্যান্ডের মান 0.1 হয়। মূলত ভগ্নাংশ মানের রেজিস্টারগুলোর ক্ষেত্রে এটা দেখা যায়। যেমন 0.47 ওহম।
টেকনিক্যালি একটা রেসিস্টরের গায়ে যে ভ্যালু লেখা থাকে, আসল ভ্যালু তার চেয়ে কিছুটা কম বা বেশি হয়। এই কম বেশি হওয়ার একটা মাত্রা বা টলারেন্স আছে। চার নম্বর কালার ব্যান্ড দিয়ে এই টলারেন্স বলে দেয়া হয়। যেমন গোল্ডেন কালারের জন্য টলারেন্স ৫% মানে, ভ্যালু ১০০ ওহম হলে সত্যিকারের ভ্যালু ৯৫ থেকে ১০৫ পর্যন্ত হতে পারে। বাজারে কিনতে গেলে এটা গোল্ডেন কালারের (৫% টলারেন্স) হয় সাধারণত।
রেসিস্টরের প্রকারভেদ
কার্বন রেসিস্টর
সাধারণত এটাই বেশী ব্যবহার করা হয়। সাধারনত কালার কোড থাকে গায়ে। একক ওহম থেকে মেগাওহম পর্যন্ত হয়ে থাকে।
কার্বন রেসিস্টর
সিমেন্ট বা সিরামিক রেসিস্টর
২ ওয়াটের চেয়ে বেশি ওয়াটের রেসিস্টর প্রয়োজন হলে আমরা সিমেন্ট রেজিস্টর ইউস করি। সাধারনত ৫ ওয়াট থেকে ২৫ ওয়াট হয়ে থাকে। এর গায়ে সাধারনত কালার কোড থাকেনা। সরাসরি রেটিংস লিখা থাকে।
সিমেন্ট রেসিস্টর
ভ্যারিয়েবল রেসিস্টর/ পটেনশিওমিটার
সাধারণত ভ্যেলু ভেরি করার যায় এ রেসিস্টরের মাধ্যমে। ৬ কিলো ওহমের রেটিংস হলে এটা দিয়ে ০ থেকে ৬ পর্যন্ত বিভিন্ন ভ্যেলু নেয়া যাবে প্রয়োজন মত। উদাহরন হিসেবে আমরা বাসা বাড়িতে ফ্যানের রেগুলেটরের কথা বলতে পারি।
ভেরিয়াবেল রেসিস্টর’
লাইট ডিপেন্ডিং রেজিস্টর (এল ডি আর –ldr)
আলোর উপর নির্ভর করে এর রেসিস্ট্যান্স বাড়ে কিংবা কমে। সাধারনত আলো বাড়লে রেসিস্ট্যান্স কমে,প্রবাহ বাড়ে। আর আলো কমলে রেসিস্ট্যান্স বাড়ে,প্রবাহ কমে। লাইট ফলোয়ার রোবট সহ বিভিন্ন রকম প্রজেক্টের কাজে এটি ব্যবহার করা হয়লাইট সেন্সর হিসেবে।
অসাধারণ পোষ্ট।
ReplyDelete