Tuesday, July 16, 2019

Electrical (ইলেকট্রিক্যাল) 00

01. সাইকেল কি?
অলটারনেটিং কারেন্ট কোন একদিকে প্রবাহিত হয়ে শূন্য হতে সর্বোচ্চ অবস্থানে, সর্বোচ্চ অবস্থান হতে আবার শূন্য অবস্থানে এবং বিপরীতক্রমে শূন্য হতে সর্বোচ্চ অবস্থানে, সর্বোচ্চ অবস্থান হতে আবার শূন্য অবস্থানে ফিরে আসে তাকে সাইকেল বলে।

02. ফ্রিকোয়েন্সী কি?
কোন পরিবর্তনশীল রাশির প্রতি সেকেন্ডে যতগুলি সাইকেল সস্পন্ন হয় তাকে ফ্রিকোয়েন্সী বলে।
একে f দ্বারা প্রকাশ করা হয়। টাইম পিরিয়ড T হলে,
F = 1/T

পিরিয়ড কি?
কোন পরিবর্তনশীল রাশির এক সাইকেল সম্পন্ন হতে যে সময়ের প্রয়োজন তাকে পিরিয়ড বলে।
একে T দ্বারা প্রকাশ করা হয়। ফ্রিকোয়েন্সী f হলে,
T = 1/f

03. ফেজ কি?
পরিবর্তনশীল রাশির কোন নির্দিষ্ট সময়ে এর কৌণিক অবস্থানকে ফেজ বলে।

04. ফেজ অ্যাঙ্গেল কি?
এ.সি. সার্কিটে ভোল্টেজ এবং কারেন্টের মধ্যবর্তী কোণকে ফেজ অ্যাঙ্গেল বলে।

05. অলটারনেশন কি?
পরিবর্তনশীল রাশির অর্ধ সাইকেলকে অলটারনেশন বলে।

06. ফর্ম ফ্যাক্টর কি?
কোন সাইন ওয়েভের আর.এম.এস. এবং গড় মানের অনুপাতকে ফর্ম ফ্যাক্টর বলে।
একে Kf দ্বারা প্রকাশ করা হয়।
Kf = আর.এম.এস./ গড় মান

07. পিক ফ্যাক্টর কি?
কোন ওয়েভের সর্বোচ্চ মান ও আর.এম.এস. মানের অনুপাতকে ক্রেস্ট ফ্যাক্টর বা পিক ফ্যাক্টর বা এ্যামপ্লিচুড ফ্যাক্টর বলে।
একে Ka দ্বারা প্রকাশ করা হয়।
Ka = সর্বোচ্চ মান / আর.এম.এস. মান

08. পাওয়ার ফ্যাক্টর কয় প্রকার?
পাওয়ার ফ্যাক্টর তিন প্রকারঃ
১. ল্যাগিং পাওয়ার ফ্যাক্টর (Lagging Power Factor)
২. লিডিং পাওয়ার ফ্যাক্টর (Leading Power Factor)
৩. ইউনিটি পাওয়ার ফ্যাক্টর (Unity Power Factor)

09. পাওয়ার ফ্যাক্টর কি?
এ.সি. সার্কিটে কারেন্ট ও ভোল্টেজের মধ্যবর্তী কোণের কোসাইন মানকে পাওয়ার ফ্যাক্টর বলে।
অথবা
অ্যাকটিভ পাওয়ার ও আপাত পাওয়ারের অনুপাতকে পাওয়ার ফ্যাক্টর বলে।
কারেন্ট ও ভোল্টেজের মধ্যবর্তী কোণ ϴ হলে,
পাওয়ার ফ্যাক্টর (pf) = Cosϴ)

10. ল্যাগিং পাওয়ার ফ্যাক্টর কি?
এ.সি. সার্কিটে ক্যাপাসিটিভ লোডের চেয়ে ইন্ডাকটিভ লোড বেশী হলে, কারেন্ট ভোল্টেজের পরে অবস্থান করে, সার্কিটের এই অবস্থায় পাওয়ার ফ্যাক্টরকে ল্যাগিং

11. পাওয়ার ফ্যাক্টর বলে।
এই সার্কিটকে ইন্ডাকটিভ সার্কিট বলে।
মনে রাখার সহজ উপায়:
E                        L             I
ই.এম.এফ.(E) ইন্ডাক্টর(L) কারেন্ট(I)
L তে ইন্ডাকটিভ সার্কিট, E তে ই.এম.এফ., I তে কারেন্ট।
ইন্ডাকটিভ সার্কিটে ভোল্টেজ আগে, কারেন্ট পরে।

12. লিডিং পাওয়ার ফ্যাক্টর কি?
এ.সি. সার্কিটে ইন্ডাকটিভ লোডের চেয়ে ক্যাপাসিটিভ লোড বেশী হলে, ভোল্টেজ কারেন্টের পরে অবস্থান করে, সার্কিটের এই অবস্থায় পাওয়ার ফ্যাক্টরকে লিডিং পাওয়ার ফ্যাক্টর বলে।
এই সার্কিটকে ক্যাপাসিটিভ সার্কিট বলে।
মনে রাখার সহজ উপায়:
I                          C                E
কারেন্ট(I) ক্যাপাসিটর(C) ই.এম.এফ.(E)
C তে ক্যাপাসিটিভ সার্কিট, E তে ই.এম.এফ., I তে কারেন্ট।
ক্যাপাসিটিভ সার্কিটে কারেন্ট আগে, ভোল্টেজ পরে।

13. ইউনিটি পাওয়ার ফ্যাক্টর কি?
এ.সি. সার্কিটে ইন্ডাকটিভ লোড ও ক্যাপাসিটিভ লোড সমান হলে, ভোল্টেজ ও কারেন্ট একসাথে অবস্থান করে, সার্কিটের এই অবস্থায় পাওয়ার ফ্যাক্টরকে ইউনিটি পাওয়ার ফ্যাক্টর বলে।
এই সার্কিটকে রেজিস্টিভ সার্কিট বলে। ইউনিটি পাওয়ার ফ্যাক্টর সার্কিটের পাওয়ার ফ্যাক্টর 1 হয়।

14. ইলেকট্রিক ফ্লাক্স ডেনসিটি কি?
প্রতি একক ক্ষেত্রফলে যে পরিমাণ ইলেকট্রিক ফ্লাক্স অতিক্রম করে তাকে ইলেকট্রিক ডেনসিটি বলে।
এর প্রতিক D এবং একক কুলম্ব/বর্গ মিটার।

15. ডাই ইলেকট্রিক পদার্থ কি?
ডাই ইলেকট্রিক শব্দের অর্থ অপরিবাহী।
যে সকল পদার্থ বিদ্যুৎ পরিবাহী নয়, মুক্ত ইলেকট্রন নেই এবং বৈদ্যুতিক শক্তিকে সঞ্চয় করে রাখতে পারে তাকে ডাই ইলেকট্রিক পদার্থ বলে।

16. ডাই ইলেকট্রিক কনস্ট্যান্ট কি?
একটি ক্যাপাসটরের প্লেট সমূহের মধ্যবর্তী বৈদ্যুতিক বলরেখা গুলোকে কেন্দ্রীভূত করার ডাই ইলেকট্রিক পদার্থের সামর্থকে ডাই ইলেকট্রিক কনস্ট্যান্ট বলে।

17. এক ফ্যারাড কাকে বলে?
এক ভোল্ট বিভব পার্থক্যর কারণে যদি ডাই ইলেকট্রিকে এক কুলম্ব ইলেকট্রিক চার্জ সঞ্চিত হয়, তবে ঐ পরিমাণ ক্যাপাসিট্যান্সকে এক ফ্যারাড বলে।

18. ইলেকট্রলাইট কি?
সেলে রাসায়নিক বিক্রিয়ার জন্য যে তরল বা পেস্ট ব্যাবহার করা হয় তাকে ইলেকট্রলাইট বলে।
ইলেকট্রলাইট হিসেবে সালফিউরিক এসিড, নাইট্রিক এসিড, এ্যামোনিয়াম ক্লোরাইড, এ্যালুমিনিয়াম ক্লোরাইড ইত্যাদি ব্যাবহার করা হয়।
ড্রাই সেলে পেস্ট ইলেকট্রলাইট এবং লিকুইড সেলে তরল ইলেকট্রলাইট ব্যাবহার করা হয়।

19. প্রাইমারী সেল কি?
যে সেলের শক্তি শেষ হয়ে গেলে পুনরায় একে কর্মক্ষম করা যায় না তাকে প্রাইমারী সেল বলে।
অল্প পাওয়ারের প্রয়োজন এমন যায়গায় সাধারণত প্রাইমারী সেল ব্যাবহার করা হয়। যেমনঃ ঘড়ি, রিমোট কন্ট্রোল, খেলনা ইত্যাদি।

20. সেকেন্ডারী সেল কি?
যে সেলের শক্তি শেষ হয়ে গেলে পুনরায় একে কর্মক্ষম করা যায় তাকে সেকেন্ডারী সেল বলে।
বেশি পাওয়ারের প্রয়োজন এমন যায়গায় সাধারণত সেকেন্ডারী সেল ব্যাবহার করা হয়। যেমনঃ ইমার্জেন্সি লাইট, আই.পি.এস. ইউ.পি.এস. ইত্যাদি।

21. কারেন্ট কাকে বলে?
পরিবাহী পদার্থের মধ্যকার মুক্ত ইলেকট্রন সমূহ একটি নিদ্রিষ্ট দিকে প্রবাহিত হওয়ার হারকেই কারেন্ট বলে। ইহাকে I বা i দ্বারা প্রকাশ করা হয়, এর একক অ্যাম্পিয়ার (A বা Amp.) অথবা কুলম্ব/সেকেন্ড ।

22. ভোল্টেজ কাকে বলে?
পরিবাহী পদার্থের পরমাণুগুলির মুক্ত ইলেকট্রন সমূহকে স্থানচ্যুত করতে যে বল বা চাপের প্রয়োজন সেই বল বা চাপকেই বিদ্যুৎ চালক বল বা ভোল্টেজ বলে। একে V দ্বারা প্রকাশ করা হয় এর একক Volts.

23. রেজিষ্ট্যান্স কাকে বলে?
পরিবাহী পদার্থের মধ্য দিয়ে কারেন্ট প্রবাহিত হওয়ার সময় পরিবাহী পদার্থের যে বৈশিষ্ট্য বা ধর্মের কারণে উহা বাধাগ্রস্ত হয় উক্ত বৈশিষ্ট্য বা ধর্মকেই রোধ বা রেজিষ্ট্যান্স বলে। এর প্রতীক R অথবা r, আর একক ওহম (Ω)।

24. ট্রান্সফরমার
ট্রান্সফরমার একটি ইলেক্ট্রিক্যাল মেশিন যা পরিবর্তনশীল বিদ্যুৎকে (Alternating current) এক ভোল্টেজ থেকে অন্য ভোল্টেজে রূপান্তরিত করে। ট্রান্সফরমার স্টেপ আপ অথবা স্টেপ ডাউন দুই ধরনের হয়ে থাকে এবং এটি ম্যাগনেটিক ইন্ডাকশন (Magnetic induction) নীতি অনুসারে কাজ করে। ট্রান্সফরমারে কোন চলমান/
ঘূর্ণায়মান অংশ থাকে না, এটি সম্পূর্ণ স্থির ডিভাইস। ট্রান্সফরমারে দুটি উইন্ডিং থাকে, প্রাইমারি এবং সেকেন্ডারি উইন্ডিং । প্রাইমারি ওয়াইন্ডিয়ে ভোল্টেজ প্রদান করলে ম্যাগনেটিক ফিল্ড তৈরি হয় এবং ম্যাগনেটিক ফ্লাক্স আয়রন কোরের মধ্য দিয়ে সেকেন্ডারি ওয়াইন্ডিয়ে যায় এবং সেখানে ম্যাগনেটিক ফিল্ড তৈরি হয়। যার ফলশ্রুতিতে সেকেন্ডারি কয়েলে ভোল্টেজ পাওয়া যায়। ট্রান্সফরমারের ভোল্টেজ পরিবর্তনের হার প্রাইমারি এবং সেকেন্ডারি কয়েলের প্যাঁচ সংখ্যার হারের উপর নির্ভর করে। তবে মনে রাখবেন, ট্রান্সফরমার শুধু ভোল্টেজের পরিবর্তন ঘটায় কিন্তু পাওয়ার ও ফ্রিকুয়েন্সি অপরিবর্তিত থাকে। পাওয়ার ঠিক থাকে তাই ভোল্টেজ পরিবর্তনের জন্য কারেন্টেরও পরিবর্তন হয়।

25. ট্রান্সফরমেশন রেশিও
উত্তরঃ ট্রান্সফরমারের উভয় দিকের ইন্ডিউসড ভোল্টেজ এবং কারেন্ট ও কয়েলের প্যাচের সংখার সাথে একটি নিদ্রিস্ট অনুপাত মেনে চলে, ইহাই ট্রান্সফরমেশন রেশিও বা টার্ন রেশিও। ইহাকে সাধারণত a দ্বারা প্রকাশ করা হয়,
অর্থাৎ a = Ep/Es = Np/Ns = Is/Ip

26. ইন্সট্রুমেন্ট ট্রান্সফরমার
CT (Current Transformer) এটি সাধারণত কম রেঞ্জের মিটার দিয়ে সার্কিটের বেশি পরিমান কারেন্ট পরিমাপ করার জন্য ব্যবহার করা হয়। PT (Potential Transformer) এটি সাধারণত কম রেঞ্জের মিটার দিয়ে সার্কিটের বেশি পরিমান ভোল্টেজ পরিমাপ করার জন্য ব্যবহার করা হয়। CT ও PT এভাবে ব্যবহার করা হলে এগুলোকে ইন্সট্রুমেন্ট ট্রান্সফরমার বলে।

27. সার্কিট ব্রেকার
সার্কিট ব্রেকার হলো একটি বৈদ্যুতিক সুইচিং ডিভাইস যা দ্বারা ইলেকট্রিক্যাল সার্কিটকে সাপ্লাই হতে সংযুক্ত ও বিচ্ছিন্ন করা হয়। তবে এটি ইলেকট্রিক্যাল সার্কিটে নিয়ন্ত্রণ ও রক্ষন যন্ত্র হিসাবে কাজ করে। ওভার লোড বা শর্ট সাকিট দেখা দিলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ঐ ইলেকট্রিকাল সার্কিটকে সরবরাহ থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেয়। তবে সার্কিট ব্রেকার স্বয়ংক্রিয়ভাবে সার্কিটে সংযোগ করেনা ।

28. আইসোলেটর
বৈদ্যুতিক সাবস্টেশনের বিভিন্ন যন্ত্রপাতি বিশেষ করে ট্রান্সফরমারকে নো-লোড অবস্থায় বা সামান্য লোড অবস্থায় লাইন হতে বিচ্ছিন্ন করার জন্য আইসোলেটর ব্যবহার করা হয়। অর্থাৎ আইসোলেটর এক ধরনের সুইস, যা অফলাইনে অপারেটিং করা হয়।

29.সাব-স্টেশন কাকে বলে?
পাওয়ার সিস্টেম ব্যবস্থায় সাব-স্টেশন এমন এক কেন্দ্র যেখানে এমন সব সরঞ্জামাদির ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে বিভিন্ন প্রকার বৈদ্যুতিক বৈশিষ্ট্য যেমন- ভোল্টেজ, এসি/ডিসি কনভার্সন, ফ্রিকুয়েন্সি, পাওয়ার ফ্যাক্টর ইত্যাদির পরিবর্তনে সাহায্য করে, এ ধরনের কেন্দ্রকে সাব-স্টেশন বা বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র বলে।

30. পাওয়ার লাইন ক্যারিয়ার (PLC)
যে লাইনের মাধ্যমে পাওয়ার স্টেশন, সাব-স্টেশন, রিসিভিং স্টেশনে নিজস্ব জরুরী যোগাযোগ ব্যবস্থাপনা টেলিফোনের মাধ্যমে সম্পন্ন করা হয় তাকে পাওয়ার লাইন ক্যারিয়ার (PLC) বলে।

31. Q-ফ্যাক্টর
AC সার্কিটে সিরিজ রেজোন্যান্সের সময় সার্কিটের L অথবা C এর আড়াআড়িতে ভোল্টেজ প্রয়োগকৃত ভোল্টেজের তুলনায় বহুগুণে বৃদ্ধি পায়। রেজোন্যান্সের কারনে সৃষ্ট এই ভোল্টেজ বেড়ে যাওয়াকে সিরিজ রেজোনেন্ট সার্কিটের Q-ফ্যাক্টর (Quality Factor) বলে।

32.পাওয়ার ফ্যাক্টর
পাওয়ার ফ্যাক্টরঃ পাওয়ার ফ্যাক্টর হল একটিভ পাওয়ার অর্থাৎ যে পাওয়ার আমরা ব্যবহার করতে পারি এবং এ্যপারেন্ট পাওয়ারের অনুপাত। ইহাকে cosθ দ্বারা প্রকাশ করা হয়, যার মান 0 হতে 1 পর্যন্ত।

33. লোড ফ্যাক্টর
গড় লোড এবং সর্বোচ্চ চাহিদার অনুপাতকে লোড ফ্যাক্টর বলে। Load Factor = Average load/Max. Demand or Peak load. এর মান ১ এর নিচে হয়।

34. প্লান্ট ফ্যাক্টর
কোন পাওয়ার প্লান্টের গড় লোড এবং নির্ধারিত রেটেড ক্যাপাসিটির অনুপাতকে প্লান্ট ফ্যাক্টর বলে।
Plant Factor = Average load/ Rated capacity of the plant

35. ডিমান্ড ফ্যাক্টর
প্লান্টের সর্বোচ্চ চাহিদা এবং সংযুক্ত লোডের অনুপাতকে ডিমান্ড ফ্যাক্টর বলে। Demand Factor = Max. Demand/ Connected Load.

36. ফরম ফ্যাক্টর
ফরম ফ্যাক্টর (Form Factor): কোন সাইন ওয়েভের কার্যকরী মান (RMS value) এবং গড় মান (Average Value) এর অনপাতকে ফরম ফ্যাক্টর (Form Factor) বলে। একে Kf দ্বারা প্রকাশ করা হয় যার মান 1.11

37. পিক ফ্যাক্টর
পিক ফ্যাক্টর (Peak Factor): কোন সাইন ওয়েভের সরবচ্চ মান (Max. value) এবং কার্যকরী মান (RMS value) এর অনপাতকে পিক ফ্যাক্টর (Form Factor) বলে। একে Ka দ্বারা প্রকাশ করা হয় যার মান 1.41

38.  স্কিন ইফেক্ট
AC বিদ্যুৎ প্রবাহ কোন পরিবাহির মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার সময় সে পরিবাহির ভিতরে প্রবেশ না করে উহার সারফেস দিয়ে প্রবাহিত হতে চেস্টা করে, এটাকে স্কিন ইফেক্ট বলে। এই স্কিন ইফেক্ট এর ফলে লাইনের রেজিস্ট্যান্স বৃদ্ধি পায় যার ফলে লাইন লসও বেড়ে যায়।

39. করোনা ইফেক্ট
যখন দুইটি কন্ডাক্টর এর স্পেসিং ব্যাসের তুলনায় বেশি অবস্থায় রেখে তাদের আড়াআড়িতে AC ভোল্টেজ প্রয়োগ করে ধিরে ধিরে বাড়ানো হয় তখন একটি পর্যায় আসে। এই বিশেষ পর্যায় কন্ডাক্টরের চারপাশে বাতাস ইলেক্ট্রস্ট্যাটিক স্ট্রেস হয়ে আয়নিত হয় এবং বাতাসের ইন্সুলেশন স্ট্রেংথ ভেঙ্গে যায়। এই অবস্থায় কন্ডাক্টরের চারপাশে জিম জিম শব্দসহ হালকা অনুজ্জ্বল বেগুনী রস্মি দেখা যায় এবং ওজন গ্যাসের সৃষ্টি হয়, এই অবস্থাটিকে করোনা নামে পরিচিত।

40. প্রক্সিমিটি ইফেক্ট
সমান্তরাল দুইটি পরিবাহীর কারেন্ট যদি পরস্পর বিপরীতমুখী হয়, তাহলে উভয় পরিবাহীর নিকটবর্তী অংশে কারেন্ট ডেনসিটি বেড়ে যায়। আবার একমুখী কারেন্ট হলে দূরবর্তী অংশে কারেন্ট ডেনসিটি বেড়ে যায়। এ ঘটনাকে প্রক্সিমিটি ইফেক্ট বলে। ইহার প্রভাবে অসম কারেন্ট প্রবাহিত হয়, লাইনের রেজিস্ট্যান্স বৃদ্ধি পায় এবং সেলফ রিয়াক্ট্যান্স এর মান কমে যায়।

41. ফ্যারান্টি ইফেক্ট
মিডিয়াম বা লং ট্রান্সমিশন লাইনে ওপেন সার্কিট বা লোড শুন্য অবস্থায় কিংবা অল্প লোডে চলার সময় প্রেরন প্রান্ত অপেক্ষা গ্রহন প্রান্তের ভোল্টেজের মান বেশি হতে দেখা দেয়। এই ঘটনা বা phenomenon কে ফেরান্টি ইফেক্ট বলে।

42. অটো ট্রান্সফরমার
অটো ট্রান্সফরমার এমন এক ব্যাতিক্রমি ট্রান্সফরমার যার মধ্যে কেবল একটি ওয়াইন্ডিং থাকে। ইহার কিছু অংশ প্রাইমারি আর কিছু অংশ সেকেন্ডারি, উভয় কয়েল ইলেকট্রিক্যাল ও ম্যাগনেটিক্যালি সংযুক্ত থাকে। তারপরও একে ট্রান্সফরমার বলা হয়, কারণ ইহার কার্যপ্রণালী দুই ওয়াইন্ডিং ট্রান্সফরমার এর মতই।

43. স্পেসিফিক রেজিস্ট্যান্স বা রেজিস্টিভিটি
নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় একক দৈর্ঘ্য ও একক প্রস্থচ্ছেদের ক্ষেত্রফল বিশিষ্ট কোন একটি পরিবাহী পদার্থের অথবা একক বাহু বিশিষ্ট কোন একটি ঘনক আকৃতির পরিবাহী পদার্থের দুটি বিপরীত তলের মধ্যবর্তী রোধ বা রেজিস্ট্যান্সকে উক্ত পরিবাহীর রেজিস্টিভিটি বা আপেক্ষিক রোধ বলে।

44. R.M.S মান
একটি সার্কিটে একটি নির্দিস্ট সময়ে কোন নির্দিস্ট পরিমান ডিসি (D/C) প্রবাহিত হলে যে পরিমান তাপ উৎপন্ন, সেই পরিমান তাপ উৎপন্ন করতে ঐ সার্কিটে উক্ত নির্দিস্ট সময়ে যে পরিমান এসি প্রবাহিত করা প্রয়োজন তাকে ঐ এসি (A/C) কারেন্টের RMS মান বলে। RMS value = 0.707 x Max. Value

45. রেজোন্যান্ট ফ্রিকুয়েন্সি
একটি AC সার্কিটে ইনডাকট্যান্স ও ক্যাপাসিট্যান্স এর মান যাই হোকনা কেন যে ফ্রিকুয়েন্সিতে ঐ সার্কিটের ইন্ডাকটিভ রিয়েকট্যান্স (XL) এবং ক্যাপাসিটিভ রিয়েকট্যান্স (XC) সমান হয়, সেই ফ্রিকুয়েন্সিকে রেজোন্যান্ট ফ্রিকুয়েন্সি বলে । একে fr দ্বারা প্রকাশ করা হয়

46. রীলে
রীলে এমন একটি সয়ংক্রীয় ডিভাইস, যা বৈদ্যুতিক সার্কিট এ কোন ফল্ট সংঘটিত হলে, সার্কিট এর প্রটেকটিভ ডিভাইস গুলো কে সয়ংক্রীয় ভাবে অপারেট করে এবং ফল্টযুক্ত অংশ কে ফল্টবিহীন অংশ হতে আলাদা করে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে।

47. ১০ টি রিলের নামঃ
১। প্রাইমারি রিলে
২। সেকেন্ডারি রিলে
৩। ডিরেকশনাল রিলে
৪। ডিফারেন্সিয়াল রিলে
৫। থার্মাল রিলে।
৬। ইলেক্ট্র থার্মাল রিলে
৭। রিভার্স পাওয়ার রিলে
৮। সলিনয়েড এন্ড প্লাঞ্জার রিলে
৯। ডিসট্যান্স রিলে
১০। ওভার ভোল্টেজ ও ওভার কারেন্ট রিলে

48. রিভার্স পাওয়ার রীলে
প্যারালেল অপারেশনে কোন অল্টারনেটরের ইনপুট কোন কারনে বন্ধ হলে বা অন্য কোন ত্রুটিতে ঐ অলটারনেটর যদি বাসবার হতে পাওয়ার নেয় অর্থাৎ উল্টাদিক হতে পাওয়ার নিয়ে অল্টারনেটরটি মোটর হিসাবে কাজ করে তখন যে রিলের মাধ্যমে প্রটেকশন দেয়া হয় তার নাম রিভার্স পাওয়ার রীলে। এ রকম অবস্থায় রিভার্স পাওয়ার রীলে এনারজাইজড হয় এবং ঐ অল্টারনেটরের সার্কিট ব্রেকার ট্রিপ করে সিস্টেমকে রক্ষা করে।

49. থার্মাল রীলে
যে রীলে কারেন্ট বৃদ্ধির ফলে তাপমাত্রা বৃদ্ধিতে সাড়া দেয়, তাকে থার্মাল রীলে বলে। এটা সাধারণত মোটর কন্ট্রোল সার্কিট, ব্যালান্স এবং আন-ব্যালান্স থ্রি-ফেজ সার্কিটে ব্যবহার করা হয়।

50. ডিফারেনশিয়াল রীলে
ডিফারেনশিয়াল রীলে এমন এক ধরনের ডিভাইস, যা দুই বা ততোধিক ইলেকট্রিক্যাল মান বা দিকের ভেক্টর পার্থক্য, যখন একটি আগে থেকেই নির্ধারিত মানের চেয়ে বেশি বা কম হয় তখন এই রীলে কাজ করে সিস্টেমকে বা ইলেকট্রিক্যাল যন্ত্রকে রক্ষা করে।

51. HRC ফিউজ
HRC= High Rupturing Capacity । উচ্চ কারেন্ট প্রবাহিত হয় এরকম লাইনে যে ফিউজ ব্যবহার হয় সেগুলো HRC ফিউজ। এতে চিনা মাটির তৈরি কেসিং এর মধ্যে ফিউজ তার সংযুক্ত থাকে। ফিউজ তারের চারদিকে বালু বা চক পাউডার এবং কেসিং এর দু-মাথায় দুটি পিতলের ঢাকনা থাকে। ফিউজ তার উভয় ঢাকনার সাথে সংযুক্ত থাকে।

52. বুখলজ রীলে
ট্রান্সফরমারের বিভিন্ন ত্রুটির প্রটেকশন ও সতর্কীকরণ ব্যবস্থার জন্য ট্রান্সফরমার ট্যাংক ও কনজারভেটর এর মাঝে পাইপে যে রীলে বসানো থাকে সেটাই বুখলজ রীলে। ত্রুটিজনিত অতিরিক্ত কারেন্ট হতে সৃষ্ট উত্তাপে ট্রান্সফরমার ট্যাংকে যে গ্যাসের সৃষ্টি হয়, তার চাপেই এই রীলে কাজ করে থাকে। অর্থাৎ শুধুমাত্র অয়েল কুলিং ট্রান্সফরমারে এই রীলে ব্যবহৃত হয়।

53. আর্থিং সুইস কি?
ট্রান্সমিশন লাইন রক্ষণাবেক্ষণের সময় লাইনে বিদ্যমান চার্জিং কারেন্টকে মাটিতে পাঠানোর জন্য যে সুইস ব্যবহৃত হয় সেটি আর্থিং সুইস (ES) নামে পরিচিত। আগে আইসোলেটর দিয়ে সার্কিট ডিসকানেক্ট করে আর্থ সুইস দ্বারা লাইনকে আর্থের সাথে সংযোগ করা হয়।

54. ওয়েভ ট্রাপ কি?
সাব-স্টেশনে ব্যবহৃত ক্যারিয়ার সরঞ্জামাদির মধ্যে ওয়েভ ট্রাপ অন্যতম একটি ডিভাইস, যার মাধ্যমে ট্রান্সমিশন লাইনের ওয়েভকে ফিল্টার করা হয়। পাওয়ার লাইনের মাধ্যমেই কমুনিকেশন ফ্রিকুয়েন্সিও পাঠানো হয়, পরবর্তীতে এই ওয়েভ ট্রাপ দিয়ে কমুনিকেশন ফ্রিকুয়েন্সিকে আলাদা করে শব্দ শক্তিতে রুপান্তর করে টেলিফোন বা যোগাযোগ ব্যবস্থা সম্পন্ন করা হয়।

55. সার্জ ভোল্টেজ কি?
পাওয়ার সিস্টেমে হঠাৎ করে খুব অল্প সময়ের জন্য অস্বাভাবিক ভোল্টেজ বৃদ্ধিকে সার্জ ভোল্টেজ বলে। একে ট্রানজিয়েন্ট ভোল্টেজও বলে।

56. কারেন্ট লিমিটিং রিয়াক্টর
কারেন্ট লিমিটিং রিয়াক্টর বা বিদ্যুৎ সীমিত করন রিয়াক্টর যথেষ্ট ইন্ডাক্টিভ রিয়াক্ট্যান্স বিশিষ্ট এক ধরনের ইন্ডাকটিভ কয়েল। শর্ট সার্কিট অবস্থায় কারেন্টের পরিমাণকে সীমিত রেখে ফল্ট কারেন্টের বিপদমাত্রা নিরাপদ সীমায় নিয়ে আসার জন্য এই রিয়াক্টর লাইনের সাথে সিরিজে সংযোগ করা হয়।

58. লোড শেডিং
যখন চাহিদার তুলনায় উৎপাদিত বিদ্যুৎ এর পরিমান কম হয়, তখন কোন কোন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রেখে অন্যান্য এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু রাখা হয়, যাতে ওভার লোডে পুরো সিস্টেম বন্ধ হয়ে না যায়। এ ব্যবস্থাকে লোড শেডিং বলে।

59.  লোড শেয়ারিং
একটি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের উপর অর্পিত সকল লোড বিভিন্ন প্লান্টের সকল জেনারেটরের মধ্যে যুক্তিযুক্ত ভাবে বন্টন করাকে লোড শেয়ারিং বলে।

60. ‘ j ‘ operator কাকে বলে?
একটি operator যার মান √-1 কোন ভেক্টরের সহিত মাল্টিপ্লাইং ফ্যাক্টর হিসাবে ব্যবহৃত হয়ে উক্ত ভেক্টর এর ৯০০ বামাবর্তে ঘূর্ণন নির্দেশ টাকা ‘ j ‘ operator বলে।

61. ওহমের সূত্র
ওহমের সুত্রঃ স্থির তাপমাত্রায় কোন বর্তনীর মধ্য দিয়ে যে কারেন্ট প্রবাহিত হয়, তাহা ঐ বর্তনীর দুই প্রান্তের বিভব পার্থক্যের সহিত সরাসরি সমানুপাতিক এবং রেজিস্টেন্সের সহিত উল্টানুপাতিক। অর্থাৎ I αV or I α1/V or I =V/R.

62. কারশফের সূত্র
কারশফের কারেন্ট সুত্র (KCL) কোন বৈদ্যুতিক নেটওয়ার্কের এক বিন্দুতে মিলিত কারেন্ট সমুহের বীজগাণিতিক যোগফল শুন্য অথবা কোন বিন্দুতে আগত কারেন্ট = নির্গত কারেন্ট।
কারশফের ভোল্টেজ সুত্র (KVL) কোন বদ্ধ বৈদ্যুতিক নেটওয়ার্কের সকল ই.এম.এফ এবং সকল ভোল্টেজ ড্রপের বীজগাণিতিক যোগফল শুন্য।

63. ফ্যারাডের সূত্র
প্রথম সুত্রঃ
একটি তার বা কয়েলে ই. এম. এফ আবিষ্ট হয় তখন, যখন উক্ত তার বা কয়েলের সাথে সংশ্লিষ্ট চৌম্বক ফ্লাক্স বা চৌম্বক বল রেখার পরিবর্তন ঘটে।

দ্বিতীয় সুত্রঃ
আবেশিত বিদ্যুচ্চালক বল এর পরিমান চৌম্বক বল রেখার পরিবর্তনের হারের সাথে সরাসরি সমানুপাতিক।
উপরোক্ত সূত্র দুটি একত্রে এভাবে লেখা যায়ঃ একটি পরিবাহী এবং একটি চৌম্বক ক্ষেত্রে আপেক্ষিক গতি যখন এরুপভাবে বিদ্যমান থাকে যে, পরিবাহীটি চৌম্বক ক্ষেত্রটিকে কর্তন করে, তখন পরিবাহিতে আবেশিত একটি বিদ্যুচ্চালক বল সংঘটিত কর্তনের হারের সাথে সমানুপাতিক।

64. লেনজের সূত্র লিখ।
আবেশিত বিদ্যুচ্চালক বলের কারনে পরিবাহী তারে প্রবাহিত আবেশিত কারেন্ট পরিবাহী তারের চারপাশে একটি চৌম্বক ক্ষেত্র সৃষ্টি করে, যা দারা আবেশিত কারেন্টের উৎপত্তি, উহাকেই (অর্থাৎ পরিবর্তনশীল ফ্লাক্স) এ (সৃষ্ট চৌম্বক ক্ষেত্র) বাধা প্রদান করে । যেখানে পরিবাহী স্থির এবং চৌম্বক ক্ষেত্র গতিতে থাকে সেখানে লেনজের সূত্র ব্যবহার হয়।

65. ফ্লেমিং এর রাইট হ্যান্ড রুল কি?
দক্ষিণ হস্তের বৃদ্ধাঙ্গুলি, তর্জনী ও মধ্যমাকে পরস্পর সমকোণে রেখে বিস্তৃত করলে যদি তর্জনী চৌম্বক বলরেখার অভিমুখ এবং বৃদ্ধাঙ্গুলি পরিবাহী তারের ঘূর্ণনের অভিমুখ নির্দেশ করে, তবে মধ্যমা পরিবাহিতে প্রবাহিত আবেশিত কারেন্টের অভিমুখ নির্দেশ করেবে। ইহাই ফ্লেমিং এর রাইট হ্যান্ড রুল। যেখানে চৌম্বক ক্ষেত্র স্থির এবং পরিবাহী গতিতে থাকে, সেখানে ফ্লেমিং এর রাইট হ্যান্ড রুল ব্যবহার করা হয়।

66. মিউচুয়াল ফ্লাক্স কাকে বলে?
পাশাপাশি অবস্থিত দুটি কয়েলের একটিতে কারেন্ট প্রবাহের ফলে সৃষ্ট ফ্লাক্সের যে অংশবিশেষ অন্যটিতে সংশ্লিষ্ট হয়, তাকে মিউচুয়াল ফ্লাক্স বলে।

67. এডি কারেন্ট
যখন একটি বৈদ্যুতিক চুম্বকের কয়েলের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত কারেন্ট পরিবর্তিত হতে থাকে, তখন চৌম্বক ক্ষেত্রও পরিবর্তিত হতে থাকে। এই পরিবর্তনশীল ফ্লাক্স কয়েলের তারকে কর্তন করে, ফলে কয়েলে একটি ভোল্টেজের সৃষ্টি হয়। একই সময়ে এই ফ্লাক্স লৌহ দণ্ডকেও কর্তন করে। ফলে এই লৌহ দণ্ডেও ভোল্টেজের সৃষ্টি হয়। এই ভোল্টেজের কারনে লৌহ দণ্ডে একটি কারেন্ট আবর্তিত হতে থাকে, এই আবর্তিত কারেন্টকেই এডি কারেন্ট বলে।

68. স্যাগ
দুইটি পোল বা টাওয়ারের মধ্যে কন্ডাকটর লাগানো হলে কন্ডাকটরটি কিছুটা ঝুলে পড়ে। পোল বা টাওয়ার দুইটির যে বিন্দুতে কন্ডাকটর লাগানো হয়েছে সেই বিন্দু দুইটির সংযোগকারি কাল্পনিক রেখা হতে কন্ডাকটরটির সর্বোচ্চ ঝুলকে স্যাগ (SAG) বা ঝুল বলে।

69. তার ও ক্যাবল
তার খোলা বা হালকা ইন্সুলেশন যুক্ত হয় এবং সলিড বা স্ট্রান্ডেড হয়, কিন্তু ক্যাবল সব সময় ইন্সুলেটেড ও স্ট্রান্ডেড হয়।

70. A.C.S.R ক্যাবল
একে Steel cored aluminium-ও বলে। উচ্চ ভোল্টেজ পরিবহন করার জন্য অ্যালুমিনিয়াম কন্ডাকটরের কেন্দ্রে প্রলেপ যুক্ত ষ্টীল কোর ব্যবহার করে A.C.S.R তার তৈরি করা হয়। এতে অ্যালুমিনিয়াম তারের টান সহন ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।

71. লাইটিং এরেস্টার
লাইটনিং এরেস্টার বা সারজ ডাইভারটার এক ধরনের ইলেকট্রিক্যাল প্রটেকটিভ ডিভাইস, যা পাওয়ার সিস্টেমে হাই ভোল্টেজকে বা সারজ ভোল্টেজকে সরাসরি মাটিতে প্রেরন করে।

72. কারেন্ট সোর্স কি?
উত্তরঃ লোডের রেজিস্ট্যান্স যাই হোক না কেন যে সোর্স সব সময় নিদিষ্ট পরিমান কারেন্ট সরবারাহ করে তাকে কারেন্ট সোর্স বলা হয়।
.
73. সার্কিট ব্রেকার ছাড়া অনাকাঙ্ক্ষিত কারেন্ট কে নিয়ন্ত্রণ করা যায় কি?
উত্তরঃ হ্যা। কারেন্ট সীমিত করন রিয়্যাক্টরের মাধ্যমে।
.
74. ক্যাপাসিটর ব্যাংক কিভাবে তৈরি করা হয়?
উত্তরঃ তিন ফেজের ক্ষেত্রে তিনটি ক্যাপাসিটর কে স্টার বা ডেল্টায় কানেকশন করে। সিঙ্গেল ফেজ হলে সরাসরি লাইন টু ফেজে সংযোগ করে ক্যাপাসিটর ব্যাংক তৈরি করা হয়।
.
75. একই ক্যাবলের মধ্য দিয়ে যথাক্রমে এসি ও ডিসি পাওয়ার প্রেরন করলে কখন বেশি রেজিস্ট্যান্স ক্রিয়া করবে?
উত্তরঃ এসিতে।
.
76. একটি ৪০০ ভোল্ট লাইন থেকে ট্রান্সফরমার ছাড়া কিভাবে ২৩০ভোল্ট পাওয়া যাবে?
উত্তরঃ লোড সমেত লাইন টিকে স্টারে সংযোগ করে।
.
77. কম ফ্রিকুয়েন্সির অসুবিধা কি?
উত্তরঃ
ক) ইনক্যান্ডিসেন্ট বাতির চঞ্চল আলোকচ্ছটা দূষনীয়।
খ) এতে ব্যবহারকৃত ট্রান্সফারমার ও মোটরের সাইজ বড় হয়।
.
78. সেনসর ও ট্রান্সডিউসারের মধ্যে পার্থক্য কি?
উত্তরঃ ট্রান্সডিউসার এক এনার্জী কে অন্য এনার্জীতে কনভার্ট করে। আর সেনসর কোন বস্তুকে ডিটেক্ট করে তাকে ইলেকট্রিক্যাল সিগন্যালে কনভার্ট করে।
.
79. এনার্জী সেভিং বাল্ব বা ইলেকট্রনিক ব্যালাস্ট টির সার্কিট টি ঠিক আছে কি না কিভাবে বুঝবেন?
উত্তরঃ ব্যালাস্ট বা এনার্জী সেভিং বাল্বের সার্কিটটির যে চারটি টার্মিনাল টিউবে সংযুক্ত করা হয় তাদের আলাদা আলাদা দুটি অংশ কে শর্ট করে সাপ্লাই প্রান্তটি কে একটি সিরিজ লাইনে সংযুক্ত করতে হবে। সার্কিট ভালো থাকলে সিরিজ ল্যাম্প টি জ্বলে উঠবে,অন্যথায় জ্বলবে না।
.
80. CFL এর পূর্ন নাম কি?
উত্তরঃ Compact Flourescent Lamp.
.
81. বিভিন্ন ইলেকট্রিক মেশিনে ব্রাশ হিসেবে কপার ব্যবহার করা হয় না কেন?
উত্তরঃ তামা পজেটিভ তাপমাত্রা গুনাঙ্ক বিশিষ্ট হওয়ায় ঘর্ষনেরর ফলে উৎপন্ন তাপে এর রোধ বাড়ে তা ছাড়াও এটি অপেক্ষাকৃত দ্রুত ক্ষয় হওয়ায় ব্রাশ হিসেবে এর ব্যবহার সীমিত।
.
82. টর্ক কি?
উত্তরঃ এটি একটি ক্রিয়াশীল বলের মোমেন্ট কে বুঝায় যা কোন বস্তু কে একটি অক্ষের সাপেক্ষে ঘুয়ায় বা ঘুরাতে চায়।
.
83. কয়েক প্রকার তরল ইনসুলেটিং পদার্থের নাম কি কি?
উত্তরঃ
ক) ইনসুলেটিং পেইন্ট।
খ) ইনসুলেটিং ভার্নিশ।
গ) ইনসুলেটিং তেল।
.
84. তার ও ক্যাবলের মাঝে পার্থক্য কি?
উত্তরঃ
ক) তার খোলা বা হালকা ইনসুলেশন যুক্ত হয় কিন্তু ক্যাবল সব সময় ইনসুলেটেড হয়।
খ) তার সলিড বা স্ট্র্যান্ডেড হয় কিন্তু ক্যাবল সব সময় স্ট্র্যান্ডেড হয়ে থাকে।
.
85.  AWG কি
উত্তরঃ American Wire Gauge.
.
86. সিঙ্গেল ফেজ মেটর বা ফ্যান চালু করতে ক্যাপাসিটর ব্যবহার করা হয় কেন?
উত্তরঃ প্রাইম মুভার ছাড়া কোন রোটর কে ঘুরাতে গেলে স্টেটরে ঘুরন্ত চুম্বক ক্ষেত্রের সৃষ্টি করতে হবে। আর ঘুরন্ত চুম্বক ক্ষেত্র সৃষ্টির প্রধান শর্ত হলো মিনিমাম ২ টি ফেজ থাকতে হবে বাট আমাদের সাপ্লাই সিঙ্গেল ফেজ। তাই আরেকটি ফেজ সৃষ্টিতে ক্যাপাসিটর use করা হয়।
.
87. কেন Dc জেনারেটর বা Ac অল্টারনেটরে প্রাথমিক অবস্থায় Ac ভোল্টেজ উৎপন্ন হয়?
উত্তরঃ যেহেতু উভয় ক্ষেত্রেই স্থায়ী চুম্বক ক্ষেত্রের ভিতরে কন্ডাক্টর কে ঘুরানো হয় এবং এ কন্ডাক্টরের সাথে ফ্লাক্স লিংকেজেরর পরিবর্তনের হার শূন্য হতে বৃদ্ধি পেয়ে সর্বোচ্চ হয়ে আবার শূন্যততে পৌছায়। এর ফলে ভোল্টেজ ও শূন্য হতে সর্বোচ্চ হয়ে শূন্যতে আসে। নর্থ ও সাউথ পোল থাকায় এই ঘটনা টা একবার পজেটিভ ও একবার নেগেটিভ দিকে সংঘটিত হয়। অর্থাৎ Ac ভোল্টেজ উৎপন্ন করে।
.
88. VDR কি?
উত্তরঃ Voltage Dependent Resistor.
.
90. একই কন্ডাক্টরে যথাক্রমে Ac ও Dc ভোল্টেজ প্রেরন করলে লাইন রেজিস্ট্যান্স কোনটায় বেশি হবে?
উত্তরঃ Ac তে।
.
91. কি কি কারনে পাম্প মোটর স্টার্ট নেয় না?
উত্তরঃ
ক) ফিউজ পুড়ে গেলে।
খ) মোটর বিয়ারিং জ্যাম হলে।
গ) ওয়াইন্ডিং গ্রাউন্ড হলে।
ঘ) কয়েল শর্ট বা স্টার্টারের সমস্যা হলে।
.
92. নাইক্রোম কি কি উপাদান নিয়ে গঠিত?
উত্তরঃ
ক) নিকেল---------- ৬১%
খ) ক্রোমিয়াম------১৫%
গ) আয়রন--------২৪%
.
93. রোটর কিভাবে বা কেন ঘোরে?
উত্তরঃ স্টেটর কয়েলে পলিফেজ সংযুক্ত করে সাপ্লাই দিলে এতে ঘুরন্ত চুম্বক ক্ষেত্রের সৃষ্টি হয় যা সিনক্রোনাস স্পিডে ঘুরতে থাকে। এ ঘুরন্ত চুম্বক ক্ষেত্র রোটর কন্ডাকক্টর কে কর্তন করলে ফ্যারাডের ইলেকট্রোম্যাগনেটিক ইন্ডাকশন নীতি অনুসারে রোটর কন্ডাক্টরে EMF আবিষ্ট হয়। যেহেতু রোটর সার্কিট বন্ধ অবস্থায় থাকে সেহেতু আবিষ্ট তড়িৎ চাপের জন্য কারেন্ট প্রবাহিত হয় এবং রোটরে ঘূর্নক উৎপন্ন করে।
.
94. সার্কিট ব্রেকার নির্ধারনের কৌশল কি?
উত্তরঃ যে সকল লোডের জন্য সার্কিট ব্রেকার নির্ধারন করতে হবে তার মোট ওয়াট বের করে উক্ত ওয়াট কে ২৩০ দ্বারা ভাগ করে যে অ্যাম্পিয়ার পাওয়া যাবে তার ১.৫ গুন অ্যাম্পিয়ার বিশিষ্ট সার্কিট ব্রেকার নিতে হবে।

95. বৈদ্যুতিক নেটওয়ার্ক কি? কত প্রকার? ও কি কি?
উত্তরঃ দুই বা ততোদিক সরল সার্কিট উপাদান পরস্পর যুক্ত হয়ে যে সার্কিট গঠিত হয়, তাকে বৈদ্যুতিক নেটওয়ার্ক বলে।
বৈদ্যুতিক নেটয়ার্ক ৪ প্রকার।
একটিভ নেটওয়ার্ক
প্যাসিভ নেটওয়ার্ক
এল- নেটওয়ার্ক
টি- নেটওয়ার্ক

96. একটিভ নেটওয়ার্ক ও প্যাসিভ নেটওয়ার্ক কাকে বলে?
উত্তরঃ
একটিভ নেটওয়ার্কঃ হচ্ছে এমন একটি সার্কিট বা নেটওয়ার্ক,যাতে এক বা একাদিক ই এম এফ এর উৎস থাকে।
প্যাসিভ নেটওয়ার্কঃ হচ্ছে এমন একটি সার্কিট বা নেটওয়ার্ক,যাতে কোন ই এম এফ এর উৎস থাকে।

97. কারেন্ট সোর্স কি?
উত্তরঃ কারেন্ট সোর্স হচ্ছে এমন একটি সোর্স,যা লোড রেজিস্ট্যান্সের পরিবর্তন যাই হোক না কেন,এর সোর্সের প্রান্তদ্বয়ের মাধ্যমে নির্দিষ্ট পরিমান কারেন্ট বিতরন করে।

98. ভোল্টেজ সোর্স কি?
উত্তরঃ ভোল্টেজ সোর্স হচ্ছে এমন একটি সোর্স,যা লোড রেজিস্ট্যান্সের পরিবর্তন উপর নির্ভর না করেই,এর সোর্সের প্রান্তদ্বয়ের নির্দিষ্ট পরিমান ভোল্টেজ পাওয়া যায়।

99.সার্কিট প্যারামিটার বলতে কি বুঝায়?
উওরঃ বৈদ্যুতিক সার্কিটে ব্যবহৃত বিভিন্ন উপাদান বা ইলিমেন্ট (যেমনঃ রেজিস্ট্যান্স,ক্যাপাসিট্যান্স, ও ইন্ডাক্ট্যান্স) কে সার্কিট প্যারামিটার বলে।

100. ইন্ডাকট্যান্স কাকে বলে? এর প্রতিক কি? এবং এর একক কি?
উওরঃ ইন্ডাকট্যান্স হচ্ছে কয়েলের একটি বিষেশ ধর্ম, যা কয়েলে প্রবাহিত কারেন্ট বা কয়েলের চারদিকে উৎপন্ন ফ্লাক্সের হ্রাস বা বৃদ্ধিতে বাধা দান করে।
এর প্রতিক হচ্ছে L, এবং একক হচ্ছে হেনরী (H বা h)

101. ক্যাপাসিট্যান্স কাকে বলে? এর প্রতিক কি? এবং এর একক কি?
উওরঃ ক্যাপাসিটরের প্লেটগুলোর মধ্য যখন পটেনশিয়াল পার্থক্য বিরাজমান থাকে,অর্থাৎ যখন ভোল্টেজ আবিশিত হয়,তখন উহাতে বৈদ্যুতিক শক্তি সঞ্চয় করে রাখা ক্যাপাসিটরের একটি বিশেষ ধর্ম,এই ধর্ম বা বৈশিষ্ট্যকেই ক্যাপাসিট্যান্স বলে।
ক্যাপাসিট্যান্সের প্রতিক হচ্ছে C এবং এর একক হচ্ছে ফেরাড বা মাইক্রো-ফেরাড (f বা µ f)

102. ইম্পিড্যান্স কাকে বলে? এর প্রতিক কি? এবং এর একক কি?
উওরঃ এ, সি সার্কিটে কারেন্ট প্রাবাহের মোট বাধা কে ইম্পিড্যান্স বলে।
ইম্পিড্যান্সের প্রতিক হচ্ছে Z এবং এর একক ওহম।

103. একটি চোক কয়েলের সহিত সিরিজে বাতি লাগানো হয়েছে, বাতি উজ্জ্বল ভাবে জলে, বাতি ডিম জ্বলে, বাতি জ্বলে না – কি হতে পারে।
উঃ চোক কয়েল শর্ট, চোক কয়েল কাটা।
104. টিউব লাইট কত ফুট লম্বা ও কত ওয়াটের হয় ?
উ : ৪’ফুট ৪০ ওয়াট এবং ২’ফুট ২০ ওয়াট সাধারনত।

105. প্রঃ স্টার্টার ছারা টিউব লাইট জ্বালানো যায় কি ?
উঃ হাঁ যায়,পুশ বাটন সুইচ ব্যবহার করে অথবা তারে তারে সংযোগ করেই বিচ্ছিন্ন করে দিতে হয়।

106. টিউব লাইট এক বার জ্বলে আবার পর মুহুর্ত্তেই নিভে এরূপ করতেছে – দোষ কোথয় ?
উঃ স্টার্টার খারাপ কাজ করতেছে না।

107. টিউব লাইটের দুই দিক জ্বলে থাকে পূর্ন ভাবে জ্বলে না – কারন কি ?
উঃ টিউবের ভিতর প্রয়োজনীয় গ্যাস নাই, অথবা প্রয়োজনীয় ভোল্টেজ পাচ্ছে না, অথবা স্টার্টার সার্কিট ব্রেক করতেছে না অথবা চোক কয়েল দুর্বল হয়ে পরেছে।

108. সুইচ অফ করা সত্বেও হোল্ডারে সাপ্লাই পাত্তয়া যায়।
উ :সুইচ লাইনে ব্যবহার না করে নিউট্রালে ব্যবহার করা হয়েছে।

109. দুই পিস সকেটের উভয় পিনে টেষ্টার জ্বলে কিন্তু বাতি জ্বলে না।
উ: নিউট্রাল পাচ্ছে না।

110. বাসার সকল লোড অফে থাকা সত্বেও মিটার ঘুরে।
উ : ওয়্যারিং কোথাও আর্থ পেয়ে গিয়েছে।

111. কলিং বেলের আওয়াজ খুব বেশী কি ভাবে কমাবে ?
উ : কম পাওয়ারের বাতি কলিং বেলের সাথে সিরেজে ব্যবহার করে।

112. বাতির কাঁচ ভেঙ্গে গেলে ফিলামেন্ট হতে আর আলো বের হয় না কেন ?
উ: ফিলামেন্ট অক্্িরজেন পায় বিধায় ইহা জ্বলে যায়।

113. সব তিন ফেজ লোডে কি নিউট্রাল লাগে?
উত্তরঃ না শুধু তিন ফেজ আনব্যালান্স লোডে লাগে।

114. এক ফেজের চেয়ে বহু ফেজের সুবিধা কি?
উত্তরঃ একই পাওয়ার পরিবহনের জন্য এক ফেজের চেয়ে বহু ফেজে কন্ডাক্টরের পরিমান কম লাগে।

115. ডেল্টা -স্টার সংযুক্ত একটি ট্রান্সফরমারের সেকেন্ডারি পাওয়ার, প্রাইমারি থেকে কত গুন কম বেশি হবে?
উত্তরঃ কম বেশি হবে না। কারন ট্রান্সফরমারের দুই কয়েলের পাওয়ার সব সময় সমান থাকে।

116. ভাসমান নিউট্রাল কি?
উত্তরঃ তিন ফেজ স্টার সংযুক্ত সিস্টেম যত আনব্যালান্স হয় নিউট্রাল পয়েন্টের পটেনশিয়াল পার্থক্যও তত বৃদ্ধি পায় এবং লোডের বিভিন্ন ফেজের মধ্যে দিয়ে ভোল্টেজের পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। ফলে নিউট্রাল পয়েন্টের পরিবর্তন হয় একে ভাসমান নিউট্রাল বলে।

117. কখন একটি R-L-C সার্কিট রেজিস্টিভ সার্কিটের ন্যায় অাচরন করে?
উত্তরঃ যখন ইন্ডাক্টিভ রিয়্যাকট্যান্স ও ক্যাপাসিটিভ রিয়্যাকট্যান্স সমান হয়।

118. ফেজ সিকুয়েন্স কি?
উত্তরঃ যে ক্রম অনুসারে পলি ফেজ সিস্টেমের ফেজ ভোল্টেজ গুলো এদের পজেটিভ সর্বোচ্চ মান এবং অন্যান্য তাৎক্ষনিক মান অতিক্রম করে তাকে ফেজ সিকুয়েন্স বলে।

119. নন-সাইনুসয়ডাল ওয়েভ কি?
উত্তর: সাইনুসয়ডাল ওয়েভ হতে ভিন্ন ওয়েভ সমূহ কে নন-সাইনুসয়ডাল ওয়েভ বলে।

120. স্টার ডেল্টা স্টার্টারের ম্যাগনেটিক কয়েল কত
ভোল্টেজ সাপ্লাই পায় ?
উ : সরাসরি ৪০০ ভোল্ট সাপ্লাই পায়। (লাইন টু লাইন)

121. একটি তিন ফেজ মোটরের বডিতে টেস্ট বাতির
এক মাথা সংযোগ করে অন্য মাথা সাপ্লাই এর সাথে
সংযোগ করলে বাতি পূর্ণ ভাবে জ্বলে, ইহাতে কি
বুঝা যায় ?
উ : মোটরের বডি ভাল ভাবে আর্থ করা হয়েছে।

122. ইন্সুলেশন রেজিস্ট্যান্স কি মিটার দ্বারা মাপা
হয় ?
উ : মেগার দ্বারা।

123. আর্থ রেজিস্ট্যান্স কি ভাবে মাপা হয় ?
উ : মেগার আর্থ টেস্টারের সাহায্যে অথবা
মোটামুটি ভাবে একটি ১০০ ওয়াটের বাতি আর্থ তার
লাইনের মধ্যে সংযোগ করার পর যদি উজ্জ্বল ভাবে
জ্বলে , তাহলে আর্থিং ভাল আছে।

124. আর্থিং রেজিস্ট্যান্স কত হওয়া বান্ছনীয় ?
উ : বাসাবাড়ীর জন্য বেশীর পক্ষে ৫ ওহম এবং সাব
স্টেশন ও পাওয়ার লাইনের জন্য বেশীর পক্ষে ১ ওহম
হওয়া দরকার।

125. একটি আধুনিক এ, সি পাওয়ার সিস্টেমের উপাদানগুলির নাম লিখ
এসি ব্যবস্থায় ট্রান্সমিশন তিন ফেজে তিন তার এবং ডিস্ট্রিবিউশনের ক্ষেএে তিন ফেজ চার তার ব্যবস্থা সাধরণত ব্যবহৃত হয় । একটি আধুনিক এসি পাওয়ার সিস্টেমের উপাদান সমুহ সাধারণতঃ নিম্নরূপ হয়ে থাকেঃ-
ক] উৎপাদন কেন্দ্র ।
খ] স্টেপ আপ কেন্দ্র ।
গ] ট্রান্সমিশন লাইন।
ঘ] সুইচিং ষ্টেশন।
ঙ] স্টেপ ডাউন উপকেন্দ্র ।
চ] প্রাইমারী ডিষ্ট্রিবিউশন লাইন বা নেটওয়াক্।
ছ] সার্ভিস ট্রান্সফরমার বা বিতরণ ট্রান্সফরমার।
জ] সেকেন্ডারি ডিষ্ট্রিবিউশন লাইন।

126. ফিডার কাকে বলে? ফিডার লাইনের বৈশিষ্ট্য কি কি?
বিভিন্ন জনবহুল এলাকা, শিল্পাঞ্চল বা আবাসিক এলাকায় বিদ্যুৎ বিতরণের জন্য উচ্চ ভোল্টেজ উপকেন্দ্র বা গ্রিড উপকেন্দ্র থেকে বিভিন্ন লোড সেন্টারে বিদ্যুৎ সরবরাহের নিমিত্তে যে বৈদ্যুতিক লাইন নির্মাণ করা হয় তাকে ফিডার বলে । অর্থাৎ উচ্চ ভোল্টেজ বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র হতে নিন্মচাপের বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রের মধ্যে সংযুক্ত লাইনের নামই ফিডার ।
ফিডার লাইনের বৈশিষ্ট্য সমুহ নিন্মরুপঃ
১। ফিডারে কোন ট্যাপিং থাকেনা ।
২। কারেন্ট ডেনসিটি সর্বত্র সমান থাকে ।
৩। সর্বত্র কারেন্ট ক্যাপাসিটরের উপর ভিত্তি করে ডিজাইন করা হয় ।
৪। ভোল্টেজ ড্রপ তত গুরত্ত দেওয়া হয় না ।

127. করোনা কি? করোনার ফলে কি কি ইফেক্ট এর সৃষ্টি হয়?
যখন ২টি কন্ডাকটর এর Spacing ব্যাসের তুলনায় বেশি অবস্থায় রেখে তাদের আড়াআড়ি AC Voltage প্রয়োগ করে ধিরে ধিরে বাড়ানো হয় তখন এমন একটি বিশেষ পর্যায় আশে যে পর্যায়ে কন্ডাকটর এর চার পাশে বাতাস ইলেক্ট্রোস্ট্যাটিক stress হয়ে আয়নিত হয় এবং বাতাসের ইন্সুলেশন ষ্ট্রেংথ ভেঙ্গে পড়ে । এই অবস্থায় কন্ডাকটর এর চার পাশে জিম জিম শব্দ সহকারে যে হালকা অনুজ্জল বেগুনি রশ্মি দেখা যায় এবং ওজন গ্যাসের সৃষ্টি হয় উহাই করোনা নামে পরিচিত ।

করোনার ইফেক্ট বা প্রভাবঃ
১। হিমিং বা জিম জিম শব্দ সৃষ্টি করে
২। কন্ডাক্টরের চার পাশে বেগুনি আভা দেখা যায়
৩। ওজন গ্যাসের সৃষ্টি
৪। হারমনিক্স কারেন্টের সৃষ্টি হয়
৫। পাওয়ার লস হয়

128. করোনার সুবিধা-অসুবিধা কি কি ?
সুবিধাঃ
১। সার্জ ভোল্টেজ এর ফলে সৃষ্ট ট্রানজিয়েন্ট ইফেক্টকে সীমিত রাখে বলে একে সুইস গিয়ারের Safety bulb হিসাবে ব্যাবহার হয় ।
২। করোনার কারনে পরিবাহিদ্বয়ের মাঝে ইলেক্ট্রোস্ট্যাটিক স্ট্রেস এর মান হ্রাস পায়, কারন এসময় পরিবাহীর চারপাশে বাতাস পরিবাহী হিসাবে কাজ করে ও পরিবাহীর virtual ব্যাস বৃদ্ধি পায় ।
অসুবিধাঃ
১। পাওয়ার লস হয়
২। ওজন গ্যাসের সৃষ্টি হয়
৩। পরিবাহী ক্ষয়প্রাপ্ত হয়
৪। হারমনিক্স এর সৃষ্টি হয়
৫। নিকটবর্তী কমিউনিকেশন লাইনে বিঘ্ন ঘটে
৬। দক্ষতা হ্রাস পায়
করোনা পাওয়ার লস কি? সমিকরনটি লিখ ।
করোনা সংগঠিত হওয়ার কারনে যে পাওয়ার লসের সৃষ্টি হয়, তাকে করোনা লস বলে । ইহাকে p দ্বারা প্রকাশ করা হয় ।

129. স্কিন ইফেক্ট কি?
এসি বিদ্যুৎ প্রবাহে কোন পরিবাহীর মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার সময় সে পরিবাহীর ভিতরে প্রবেশ না করে পরিবাহীর উপরিভাগ দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার চেষ্টা করে, এটাকে স্কিন ইফেক্ট বলে । স্কিন ইফেক্টের কারনে লাইনের রেজিষ্ট্যান্স বৃদ্ধি পায় ফলে লাইন লসও বৃদ্ধি পায় ।
ট্রান্সমিশন লাইনে স্কিন ইফেক্ট এর প্রভাব লিখ? কমানোর উপায় কি?
ট্রান্সমিশন লাইনে স্কিন ইফেক্টের কারনে লাইনের রেজিষ্ট্যান্স বৃদ্ধি পায় ফলে লাইন লসও বৃদ্ধি পায় ।
স্কিন ইফেক্ট কমানোর উপায়ঃ
১। কন্ডাক্টরের ব্যাসার্ধ কমিয়ে
২। ফাঁপা সিলিন্ডার আকারের পরিবাহী ব্যাবহার করে
৩। Stranded কন্ডাকটর ব্যবহার করে
৪। ব্যারেল আকৃতির ও Aluminium কন্ডাকটর ব্যবহার করে ।
প্রক্সিমিটি ইফেক্ট কাকে বলে? ইহার প্রভাব ও কমানোর উপায় লিখ ।
যখন একটি কারেন্ট পরিবাহী এর পাশে আরেকটি কারেন্ট পরিবাহী থাকে, তখন এর ফ্লাক্স পূর্বের কারেন্ট পরিবাহীতে সংশ্লিষ্ট হয় । এই ফ্লাক্সের ফলাফল উভয় কন্ডাক্টরের দূরবর্তী অর্ধাংশের চেয়ে নিকটবর্তী অর্ধাংশে বেশি দেখা যায় । যার ফলে কন্ডাকটর সমগ্র প্রস্থচ্ছেদ ব্যপিয়া অসম কারেন্ট বণ্টন হতে থাকে এবং স্কিন ইফেক্টের ন্যায় রেজিষ্ট্যান্স বৃদ্ধি পায় । এই ঘটনাকে প্রক্সিমিটি ইফেক্ট বলে ।
প্রভাবঃ
এই ইফেক্টের ফলে কন্ডাকটর সমগ্র প্রস্থচ্ছেদ ব্যপিয়া অসম কারেন্ট বণ্টন হতে থাকে এবং স্কিন ইফেক্টের ন্যায় রেজিষ্ট্যান্স বৃদ্ধি পায় ও সেলফ রিয়্যাকট্যান্সের মান হ্রাস পায় ।
কমানোর উপায়ঃ
১। ফ্রিকুয়েন্সি রেঞ্জ কমিয়ে
২। কন্ডাকটর এর স্পেসিং বৃদ্ধি করে
৩। Stranded কন্ডাকটর ব্যবহার করে

130. এডি কারেন্ট লস কাকে বলে?
হিসটেরেসিস লস ছাড়াও চৌম্বক উপাদানের মজ্জায় আবর্তমান বা এডি কারেন্টের কারনে কিছু অপচয় হয়, একে এডি কারেন্ট লস বলে।
বিদ্যুচৌম্বক আবেশ (Eletromagnetic Induction) কাকে বলে?
যখন কোন পরিবাহী বা কন্ডাকটরের সাথে সংশ্লিষ্ট চৌম্বক ফ্লাক্স পরিবর্তিত হয়, তখন পরিবাহীটির ভিতরে একটি ই. এম. এফ আবিষ্ট হয়। যদি পরিবাহীটি একটি লুপ বা সার্কিট গঠন করে, তবে এতে কারেন্ট প্রবাহিত হবে। এই প্রক্রিয়াকেই বিদ্যুচৌম্বক আবেশ (Eletromagnetic Induction) বলে।
ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রের জন্য প্রয়োজনীয় সূত্র ! (Engineering Law)

ফ্যারাডের সূত্র লিখ।
ফ্লেমিং এর রাইট হ্যান্ড রুল কি?
দক্ষিণ হস্তের বৃদ্ধাঙ্গুলি, তর্জনী ও মধ্যমাকে পরস্পর সমকোণে রেখে বিস্তৃত করলে যদি তর্জনী চৌম্বক বলরেখার অভিমুখ এবং বৃদ্ধাঙ্গুলি পরিবাহী তারের ঘূর্ণনের অভিমুখ নির্দেশ করে, তবে মধ্যমা পরিবাহিতে প্রবাহিত আবেশিত কারেন্টের অভিমুখ নির্দেশ করেবে। ইহাই ফ্লেমিং এর রাইট হ্যান্ড রুল।

ফ্লেমিং এর রাইট হ্যান্ড রুল কোথায় প্রযোজ্য হয়?
যেখানে চৌম্বক ক্ষেত্র স্থির এবং পরিবাহী গতিতে থাকে, সেখানে ফ্লেমিং এর রাইট হ্যান্ড রুল ব্যবহার করা হয়।

মিউচুয়াল ইনডাকট্যাঁন্স কাকে বলে?
যে বৈশিষ্ট্য বা ধর্মের কারনে পাশাপাশি দুটি কয়েলে একটির কারেন্টের পরিবর্তনের ফলে অন্যটিতে ভোল্টেজ আবিষ্ট হয় উক্ত ধর্ম বা বৈশিষ্ট্যকে মিউচুয়াল ইনডাকট্যাঁন্স বলে।

সেলফ ইনডাকট্যাঁন্স কাকে বলে?
এটা কয়েলের এমন একটি ধর্ম বা বৈশিষ্ট্য, যা কয়েলে প্রবাহিত কারেন্ট বা কয়েলের চারদিকের ফ্লাক্সের হ্রাস- বৃদ্ধিতে বাধা দান করে।

হিসটেরেসিস কাকে বলে?
চৌম্বক গুণাবলীর কিছুটা অংশ চৌম্বক পদার্থ কত্রিক নিজের মধ্যে রেখে দেয়ার প্রবনতাকেই হিসটেরেসিস বলে।

চৌম্বকী করন চক্র কাকে বলে?
একটি লোহাকে চুম্বকে পরিনত করা, আবার চুম্বকহীন করা এবং আবার চুম্বকে পরিনত করা, আবার চুম্বকহীন করা, এই প্রক্রিয়া অনবরত চলতেই থাকলে এই প্রক্রিয়াকেই চৌম্বকী করন চক্র (সাইকেল অব ম্যাগনেটাইজেশন) বলে।

ম্যাগনেটাইজেশন বা B-H কার্ভ কি?
X- এক্সিস কে ম্যাগনেটাইজিং ফোরস (H) এবং Y- এক্সিস কে ফ্লাক্স ডেনসিটি (B) হিসেবে ধরে যে কার্ভ আকা হয় তাকে ম্যাগনেটাইজেশন বা B-H কার্ভ বলে।

এডি কারেন্ট কি?
যখন একটি বৈদ্যুতিক চুম্বকের কয়েলের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত কারেন্ট পরিবর্তিত হতে থাকে, তখন চৌম্বক ক্ষেত্রও পরিবর্তিত হতে থাকে। এই পরিবর্তনশীল ফ্লাক্স কয়েলের তারকে কর্তন করে, ফলে কয়েলে একটি ভোল্টেজের সৃষ্টি হয়। একই সময়ে এই ফ্লাক্স লৌহ দণ্ডকেও কর্তন করে। ফলে এই লৌহ দণ্ডেও ভোল্টেজের সৃষ্টি হয়। এই ভোল্টেজের কারনে লৌহ দণ্ডে একটি কারেন্ট আবর্তিত হতে থাকে, এই আবর্তিত কারেন্টকেই এডি কারেন্ট বলে।
এডি কারেন্ট লস কাকে বলে?
হিসটেরেসিস লস ছাড়াও চৌম্বক উপাদানের মজ্জায় আবর্তমান বা এডি কারেন্টের কারনে কিছু অপচয় হয়, একে এডি কারেন্ট লস বলে।

131. প্রশ্নঃ Inverter কি বা কাকে বলে?

ইভার্টার এমন এক ধরনের ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস যা ডাইরেক্ট কারেন্ট(ডিসি) কে অল্টারনেটিং কারেন্টে(এসি) তে রূপান্তরিত করে।
 ইনভার্টার ব্যবহিত হয় ডিসি সোর্স থেকে এসি পাওয়ার সাপ্লাই দেবার জন্য, যেমন সোলার প্যানেল বা বৈদ্যুতিক ব্যাটারী।

ইলেকট্রিক্যাল ইনভার্টার মূলত উচ্চ ক্ষমতার ইলেকট্রনিক অসিলেটর। ইনভার্টার সাধারণত রেক্টিফায়ারের বিপরীতে কাজ সম্পাদন করে থাকে। ইনভার্টার ফ্রিকুয়েন্সি এবং ভোল্টেজ কে পরিবর্তন করতে পারে।

ইনভার্টার কত প্রকার ও কি কি?
ইনভার্টারে নিম্মলিখিত আউটপুট পাওয়া যায়।

স্কোয়ার ওয়েব ইনভার্টার।
মডিফায়াইড সাইন ওয়েব ইনভার্টার।
পিউর সাইন ওয়েব ইনভার্টার।

Inverter সাধারণত স্কোয়ার ওয়েব, মডিফিটেড সাইন ওয়েব, পালস সাইন ওয়েব, পালস ওয়াইডথ মডুলেশন তৈরি করতে পারে।

স্কোয়ার ওয়েবঃ এটা অনেক সহজতম ওয়েবফর্ম যা ইনভার্টার তৈরি করতে পারে। এটা কম সংবেদনশীলতা এপ্লিকেশনের জন্য উপযুক্ত যেমন লাইটনিং এবং হিটিং। স্কোয়ার ওয়েব আউটপুট ফর্ম যখন অডিও যন্ত্রপাতির সাথে সংযুক্ত করা হয় তখন তা গুন গুন শব্দ করে থাকে এবং যেটা সত্যি অনুপুযুক্ত সংবেদনশীল ইলেকট্রনিক্স এর জন্য।

সাইন ওয়েবঃ ইনভার্টার সার্কিট মূলত সাইন ওয়েব তৈরি করতে পারে। সাইন ওয়েব আউটপুট টাইপের ইনভার্টার তৈরি করতে অনেক খরচ হয়ে থাকে।

আউটপুট ফ্রিকুয়েন্সিঃ ইনভার্টার এর আউটপুট ফ্রিকুয়েন্সি সাধারণ এসি সাপ্লাই ফ্রিকুয়েন্সির মতই ৫০ অথবা ৬০ হার্টজ।

আউটপুট ভোল্টেজঃ এর আউটপুট ভোল্টেজ অনেকটাই গ্রীড লাইন ভোল্টেজের মতই হয়ে থাকে। যেমনঃ ১২০ অথবা ২৪০ VAC ডিস্ট্রিবিউশন লেভেল।
ইনভার্টার ব্যাটারি

ইনভার্টার কত সময় চলবে তা নির্ভর করবে ব্যাটারির পাওয়ারের উপর। যত বেশি পরিমাণ ইনভার্টার ইকুইপমেন্ট ব্যবহার করা হবে ব্যাটারি পাওয়ার তত তারাতারি কমে যাবে। প্রয়োজনে বেশি ব্যাটারি যুক্ত করা যেতে পারে।

132. অটোরিক্লোজার কি? সার্কিট ব্রেকার ভাল নাকি অটো রিক্লোজার ভাল? ভাইবার একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। 

উত্তর হবে মডার্ন সাবস্টেশনে উচ্চভোল্টেজ, উচ্চ লোড কারেন্ট এ রেটিং করা, SCADA প্রযুক্তিতে পরিচালিত, স্বয়ংক্রিয়ভাবে ফল্ট ডিটেক্ট করার জন্য যে সুইচগিয়ার প্রটেকশন থাকে তাকে অটোরিক্লোজার বলে। 

এটার ভোল্টেজ রেটিং (1.2 - 38 kV) 
লোড কারেন্ট রেটিং (1000-1200 amps) 
ফল্ট কারেন্ট রেটিং (1-16 KA) 

এটা সার্কিট ব্রেকার থেকে বহুগুণে উত্তম। কারণ এর মাধ্যমে অত্যাধুনিক উপায়ে অটোমেটিকভাবে সিস্টেম এর ফল্ট (light arresting, Surge fault) ডিটেক্ট করা যায়। যেটা সার্কিট ব্রেকার এ সম্ভব নয়।

No comments:

Post a Comment

Thanks for your comment.

Besic Acknowledge in Electrical

২৫। ১ কিলোগ্রাম কাকে বলে? উত্তর : ফ্রান্সের স্যাভ্রেতে ইন্টারন্যাশনাল ওয়েটস অ্যান্ড মেজারসে রক্ষিত প্লাটিনাম ইরিডিয়াম সংকর ধাতুর তৈরি একটি স...